Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৫ কোটি ৫০ লাখ টাকায় মসজিদ পুনঃনির্মাণ করে দিলেন ফারুকী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ মে ২০১৯, ০৬:০৭ PM
আপডেট: ০৩ মে ২০১৯, ০৬:০৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পিরোজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ১৩৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ভবনটি ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে পুনঃনির্মাণ করেছেন মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন ফারুকী (সিআইপি)।

শুক্রবার বেলা ১১টায় মুসল্লিদের নামাজ আদায় করার জন্য এ মসজিদ ভবনটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাত হোসেন, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খালেকসহ স্থানীয় মুসল্লিবৃন্দ। পরে মন্ত্রী মুসল্লিদের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেন।

মসজিদ ভবন নির্মাণের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ জানান, নবনির্মিত এ পাঁচতলা ভবনের ভেতর ও বাইরের দেয়ালসহ মেঝে, অজুখানা ও সিঁড়িতে লাগানো হয়েছে মারবেল পাথর। প্রধান ফটকে লাগানো হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা দামের বার্মাটিক ডোর। লাগানো হয়েছে চোখ জুড়ানো ঝাড়বাতি, ১৪টি এসি ও নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা।

এর আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পুরাতন শতবর্ষী ভবনটি ভেঙে ফেলা হয় এবং ২২ ডিসেম্বর নতুন এ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ওই সময়ের জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম শেখ।

মসজিদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস : ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে ভারত বর্ষের উত্তর প্রদেশের জৈনপুর জেলা সদরের জনৈক হাফেজ মো. সুলায়মান ইসলাম ধর্ম প্রচাররের উদ্দেশ্যে পিরোজপুরে আসেন। এসময় তিনি নিজস্ব অর্থে শহরের ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করে গোলপাতার ছাউনী দিয়ে একটি কাঠের মসজিদ ঘর প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর প্রায় ৪০ বছর ধরে মোতাওয়াল্লী, মুয়াজ্জিন ও ইমাম হিসেবে যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এক পর্যায়ে তিনি বার্ধক্যে পৌঁছলে ১৯১৮ সালে তার কনিষ্ঠ সন্তান হাফেজ মো. নোমানকে জৈনপুর থেকে পিরোজপুর নিয়ে আসেন এবং এ মসজিদের সমস্ত দায়িত্ব তার ওপর অর্পণ করে জৈনপুর প্রত্যাগমন করেন।

হাফেজ মো. নোমান ১৯৮৪ সালের ৩ জানুয়ারি ৭৫ বছর বয়সে পিরোজপুরে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন। তিনি বেঁচে থাকতেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আপ্রাণ চেষ্টা ও আর্থিক সহায়তায় গোলপাতার মসজিদকে পর্যাক্রমে দালানে রূপান্তরিত করেন। পরবর্তীতে এ মসজিদটি তিনতলা বিশিষ্ট প্রধান জামে মসজিদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

Bootstrap Image Preview