Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

৩ মাসেই ফাটল ধরেছে ৭৩ লাখ টাকার ভবনে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৫৭ PM
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৫৭ PM

bdmorning Image Preview


নির্মাণের তিন মাসের মাথায় শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৪১নং চরযাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। যেকোনো সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবু ঝুঁকি নিয়ে ওই ভবনে চলছে পাঠদান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ৪১নং চরযাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থানীয় পাঞ্জু শিকদার ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। টিনশেড মূল ভবনের পাশে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৩-এর আওতায় ২০১৭ সালে এলজিইডি বিভাগ ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। চারতলা ভবনটির একতলার নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চার কক্ষের ভবনটি বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদার। বুঝিয়ে দেয়ার পর থেকেই ভবনটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়। মেসার্স আব্দুল মান্নান লস্কর নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবনটি নির্মাণ করে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার মন্ডল বলেন, ঠিকাদারের কথা অনুযায়ী ভবনটিতে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করেছি। কিন্তু এরই মধ্যে ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি আমরা।

বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি জানালার কলামে বড় বড় ফাটল। মেঝের ফ্লোরের পলেস্তারা উঠে গেছে। সিঁড়ি ফেটে আলাদা হয়ে গেছে। ভবনের দেয়ালেও রয়েছে অসংখ্য ফাটল। ভবনের বারান্দার গ্রিলগুলোতে বাঁশের স্টিক দিয়ে ফিক দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪১নং চরযাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৩৮ জন। শিক্ষক আছেন চারজন।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও খায়্যেদা আক্তার সুমী বলেন, যে ঠিকাদার ভবনটি নির্মাণ করেছেন তিনি অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষার একটি স্লোগান আছে ‘নিরাপদ পরিবেশে পাঠদান’। কিন্তু আমরা নিরাপদ পরিবেশে নাই, আমরা ঝুঁকিতে আছি। তাই ভবনটির সংস্কার প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম মিয়া বলেন, ঠিকাদার এলজিইডিকে ভবনটি এখনো বুঝিয়ে দেয়নি। বিদ্যালয়ের ভবনে ফাটল ধরার বিষয়টি আমি শুনেছি। আমরা বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাব। কোনো অনিয়ম পেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি করেছে এলজিইডি। এরই মধ্যে বিদ্যালয়ে ফাটল ধরেছে বলে শুনেছি। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।

Bootstrap Image Preview