বৃষ্টিহীন ভরা বর্ষা মৌসুমে প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের জনজীবন। টানা ভ্যাপসা গরম আর অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত।
গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হলকার মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও কোনো স্বস্তি নেই। শিশুুরা ছাড়াও গরমে সবচেয়ে বেশি কাবু হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধরা। নেতিয়ে পড়ছে গাছ-গুল্ম-লতা।
ফলে প্রাণীকুল বিপর্যস্ত অবস্থায় সময় কাটাচ্ছে। রোদের তাপ থেকে বাঁচতে সবাই খুঁজছে একটু ছায়ার আশ্রয়। ব্যতিক্রম নয় রিক্সাচালকরাও। প্রচুরতাপ আর গরম থেকে একটু রক্ষা পেতে বিভিন্ন গাছের ছায়ায় আশ্রয় খুজে চলেছেন খেটে খাওয়া দিনমুজুর ও রিক্সাচালকেরা।
কর্মজীবী মানুষ ঘরের বাইরে বের হলেই অতিরিক্ত ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। আর সেই ক্লান্তি দূর করতে তারা গাছের ছায়ায় বসে বিভিন্ন গল্পগুজব করে সময় কাটাচ্ছেন। ২৮ এপ্রিল ফরিদপুরে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রবিবার উপজেলার মধ্য বিএস ডাঙ্গীর বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, এত রোদের তাপ যে মনে হচ্ছে গায়ের চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। রোদের কারনে ঘরের বাইরে বের হওয়াটাই দুস্কর হয়ে পরছে।
উপজেলা সদরের আরেক বাসিন্দা আঃ ওহাব মোল্যা বলেন, এত রোদের তাপ মনে হচ্ছে আকাশ থেকে যেন শুধু আগুন ঢেলে পড়ছে। প্রচুর গরমে ঘরের মধ্যে থেকেও কোন শান্তি পাচ্ছি না। এতা গরমে জীবন একেবারে অতিষ্ট হয়ে পড়ছে।
একইদিন উপজেলার ষাটোর্ধ্ব রিকশাচালক শহিদ মিয়া জানান, রোদের কারণে রিকশা চালানো খুবই কষ্টকর। কিন্তু জীবন ও জীবিকার তাগিদে আমাগোতো রিকশা নিয়া রাস্তায় বার অইতোই অইবো। তানা অইলে আমাগো সংসার চলবো কিবা কইরা। তিনি বলেন কিছুক্ষন রিকশা চালাই আবার মাঝে এটটুহানি জিরাই লই। এইভাবেই তিনি প্রতিদিন জীবিকার তাগিদে প্রচুর গরম ও তাপদাহ উপেক্ষা করে রিকশা চালিয়ে চলেছেন বলে জানান।