প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ছাত্রীকে কোপাল তরুণ

প্রথম সাময়িক পরীক্ষা দিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বর্বর হামলার শিকার হয়েছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছামিরা আক্তার (১৪)।আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিক্ষার্থীকে প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে ও পরে সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের ঘাটেরবাজার এলাকায় শনিবার দুপুর আড়াইটায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় হামলাকারী তরুণ জুয়েলকে (১৯) গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আটক জুয়েল উপজেলার সাদিপুর গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে।

আহত শিক্ষার্থী ছামিরার চাচা মুজিবুর রহমানসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা সদরের আলহেরা ইসলামি কেজি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছামিরা আক্তার স্কুলের প্রথম সাময়িকী পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পথে জুয়েল দা-বঁটি দিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছামিরার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ সময় ছামিরার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয় ছামিরাকে।

এদিকে ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসা লোকজন হামলাকারী জুয়েলকে দাসহ আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ জুয়েলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ছামিরার চাচা আরও জানান, ছামিরাকে আগে থেকেই উত্ত্যক্ত করত জুয়েল। ছামিরা স্থানীয় সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত। কিন্তু জুয়েলের কারণে তাকে স্কুল পরিবর্তন করে কুলাউড়া আলহেরা ইসলামি কেজি স্কুলে ভর্তি করা হয়। সে সময় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়।

কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক জানান, মাথার ডান থেকে পেছনের দিকে কোপটা লেগেছে। এতে ওই ছাত্রীর ডান কান অর্ধেকটা ঝুলে গেছে। পেছন দিকে কোপের গভীরতা ২ ইঞ্চি পরিমাণ। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান হামলাকারী জুয়েলের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলার শিকার ছাত্রীর পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা হবে।