Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বোরকা পরে ধর্ষককে ধরল পুলিশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:২৪ PM
আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:২৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সাতজন মিলে ১৭ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা শুকুর আলীকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজনগর উপজেলার টেংরা বাজার থেকে পুলিশ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করে। এর আগে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুলাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, কুলাউড়া থানা পুলিশের কাছে আগেই খবর ছিল গণধর্ষণ মামলার মূলহোতা শুকুর আলী রাজনগর থানা এলাকায় রয়েছেন।

খবর পেয়েই কুলাউড়া থানার কৌশলী পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে ধরতে একটি পরিকল্পনা করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল যেভাবেই হোক ধর্ষণকারী শুকুরকে পুলিশের খাঁচায় বন্দী করতে হবে।

পরিকল্পনার মধ্যে এএসআই নাজমুলকে স্বামী, কনস্টেবল জুনায়েদকে কালো বোরকা পরিয়ে স্ত্রী সাজিয়ে অভিযানে নামে কুলাউড়া থানা পুলিশ। তারা একটি মোটরসাইকেলে করে শুকুর আলীকে বহনকারী সিএনজির পিছু নেন।

কিছুক্ষণ পিছু নেয়ার পর স্ত্রীর গায়ে সিএনজি দিয়ে ধাক্কা দেয়ার কথা বলে সিগন্যাল দিয়ে থামানো হয় ওই অটোরিকশাকে। পরে শুকুর আলীকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে প্রথমে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সিএনজি অটোরিকশা চালক হাসান মিয়াকে (২৫) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তার দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের পুসাইনগর ও জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্ত এলাকা থেকে বিলাল মিয়া (২৫), জাহাঙ্গীর আলম (২৬), সুজন মিয়া (২২) ও সুফিয়ান মিয়াকে (২৫) গ্রেফতার করে। এর মধ্যে বিলাল ও জাহাঙ্গীর দালালের মাধ্যমে চোরাই পথে ভারতে পালানোর চেষ্টা চালান।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল রাতে পৌর এলাকার ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ডেকে নিয়ে নির্জন স্থানে সাত দুর্বৃত্ত তাকে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় শুকুর আলীকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

Bootstrap Image Preview