Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রেমিককে মেরে পুঁতে রাখার বর্ণনা দিল প্রেমিকা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১২:২০ PM
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১২:২০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


হবিগঞ্জের লাখাইয়ে কলেজছাত্র উজ্জ্বল মিয়া খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন প্রেমিকা ফারজানা আক্তার (১৭)। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন।

এ সময় তিনি ঘটনার বর্ণনা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ফারজানা আক্তার ও তার বাবা মঞ্জু মিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাখাই থানা পুলিশের ওসি মো. এমরান হোসেন।

প্রেমিককে হত্যার দায়ে গ্রেফতার হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ছাত্রী ফারজানা আক্তার আদালতকে জানান, মাধবপুর সৈয়দ সঈদ উদ্দিন কলেজের ছাত্র লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের শাহ আলমের ছেলে উজ্জ্বল মিয়ার (২২) সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয় ও প্রেম হয়। দিনে দিনে প্রেম গভীর হয়ে ওঠে। ফারজানার মা-বাবা ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগে প্রায়ই তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতো উজ্জ্বল। তাদের মাঝে অসংখ্যবার দৈহিক সম্পর্কও হয়েছে। কিন্তু তাকে রেখে আরো কয়েকজন মেয়ের সঙ্গে একইরকম সম্পর্ক গড়ে তোলে উজ্জ্বল। সে খবর জানতো না ফারজানা।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি তারা ফারজানার বাড়িতে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। ওই রাতে অন্য প্রেমিকা বার বার উজ্জ্বলকে মোবাইলে ফোন করছিল। কিন্তু ফোন না রিসিভ করায় সে এক পর্যায়ে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠায়। তা দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ফারজানা। সে তখন আত্মহত্যার কথা চিন্তা করে। পরক্ষণেই সিদ্ধান্ত পাল্টায়। নিজে কেন মরবে? বরং প্রেমিককে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাতেই ঘরে থাকা শিল দিয়ে প্রেমিক উজ্জ্বলের মাথায় প্রথমে আঘাত করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এরপর নিজের ঘরের মেঝেতে গর্ত করে লাশ পুঁতে রাখে।

পরদিন সকালে সে ঢাকায় গিয়ে মা বাবার কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানায়। খবর পেয়ে মা বাবা ঢাকা থেকে বাড়িতে ছুটে আসেন। রাতে তার বাবা মঞ্জু মিয়া লাশ বস্তাবন্দি করে মেন্দি হাওরের একটি বিলে নিয়ে ফেলে আসেন।

Bootstrap Image Preview