Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

`মসজিদে হামলার প্রতিশোধ নিতেই শ্রীলঙ্কায় হামলা’ ভুল বললেন জেসিন্ডা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩২ PM
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩২ PM

bdmorning Image Preview


নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে, ক্রাইস্টচার্চে মসজিদের হামলা ও শ্রীলঙ্কার ইস্টার বোমা হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়ে যে দাবি করা হয়েছে, সে সম্পর্কে কিউই প্রধানমন্ত্রী জেসিদা আরডার্ন অবগত রয়েছেন। যদিও এ ধরনের সম্পৃক্ততার বিষয়ে কোনো গোয়েন্দা তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আজ মঙ্গলবার সংসদে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজেবর্ধনে দাবি করেন, গত মাসে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে গুলি করে হত্যাকাণ্ডের ‘প্রতিশোধ নিতেই’ শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় ধারাবাহিক বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এপি জানায়, আজ জাসিন্ডা আরডার্নের কার্যালয় থেকে বলা হয়, এটি পরিষ্কারভাবে বোঝা গেছে যে, শ্রীলঙ্কার হামলার তদন্ত তার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে গুলি করে ৫০ জনকে হত্যা করা হয়।

এদিকে শ্রীলঙ্কায় হামলার দুদিন পর দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস), তবে তারা কোনো প্রমাণ দেয়নি। চরমপন্থী গোষ্ঠীটি আজ তাদের আমাক সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে দায় স্বীকার করে।

তাদের দাবি, রোববারের হামলাকারীরা ছিলেন আইএসের যোদ্ধা। তবে হামলাকারীরা যে জঙ্গি গোষ্ঠীটির প্রতি অনুগত, সে বিষয়ে তারা কোনো ছবি বা ভিডিও দেয়নি।

একসময় ইরাক ও সিরিয়ায় দখল করা ভূমির সব হারানো আইএস আগেও অনেক হামলার অসমর্থিত দায় স্বীকার করেছে।

শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তারা হামলার জন্য স্থানীয় একটি ইসলামি চরমপন্থী গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে।

শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, প্রাথমিক তদন্তে বের হয়েছে, ক্রাইস্টচার্চ হামলার প্রতিশোধ নিতে রোববার ‘একটি ইসলামী মৌলবাদী গোষ্ঠী’ রাজধানী কলম্বোর ভেতর ও বাইরে বোমা হামলা চালায়, যাতে ৩০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ এবং তথ্যটি কোথা থেকে পাওয়া গেছে তার ব্যাখ্যা দেননি।

প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোববার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টার সানডে পালনের সময় শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা, তিনটি অভিজাত হোটেল ও অন্যান্য এলাকায় ধারাবাহিক বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২১ জন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক আহত হয়েছেন।

এদিকে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার পর শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়িয়েছে।

আজ পুলিশ আদেশ জারি করে যে, যেকেউ রাস্তায় গাড়ি পার্ক করলে এবং অপ্রত্যাশিতভাবে চলে গেছে তার ফোন নম্বরসহ একটি নোট উইন্ডসস্ক্রিনে রাখা হবে।

ডাক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা আন র‌্যাপ করা কোনো পার্সেল গ্রহণ করবেন না। হামলার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে।

গত ১১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ প্রিয়ালাল দিসানায়েক দেশটির চার গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করেন যে, একটি স্থানীয় দল দেশে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করছে।

তার চিঠিতে সংযুক্ত গোয়েন্দা প্রতিবেদন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। ন্যাশনাল ‘তৌহিদ জামাত’ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। জাহরান হাশমিকে গোষ্ঠীটির নেতা হিসেবে দাবি করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গির্জা’ লক্ষ্যবস্তু করে শিগগিরই একটি আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এদিকে রোববারের নৃশংস হামলায় দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে দেশটির সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছেন লঙ্কান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিলা সিরিসেনা। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে ২৬ বছর আগের গৃহযুদ্ধে সেনাবাহিনীকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল এবং ২০০৯ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সে ক্ষমতা তুলে নেওয়া হয়।

Bootstrap Image Preview