Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সেই ভুয়া বকেয়া বিলে দিনমজুরের জেল, বিদ্যুতের ১১ জন বরখাস্ত

মুরাদনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৫০ PM
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৫০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কুমিল্লার মুরাদনগরে ভুয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য দিনমজুর আবদুল মতিনকে জেলে নেয়ার ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ১১ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

উপজেলার মোচাগাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী আবদুল মতিনের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। তবুও ১৭ মাসের বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল তাকে। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার দায়ে সুপার ভাইজারসহ ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)।

এছাড়া ভুক্তভোগী মতিনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে এ সংস্থাটি। জানা যায়, ২০১৫ সালে মো. আ. মতিনের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে তার নামে বরাদ্দকৃত মিটারটি প্রতিবেশী মো. শফিকুল ইসলামের ঘরে স্থাপন করা হয়। তারপর থেকে বিদ্যুৎ মো. শফিকুল ইসলাম ব্যবহার করলেও বিদ্যুৎ বিল মো. আ. মতিনের নামে প্রদান করা হয়ে আসছিল, যা সমিতির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা ও চরম অবহেলা। বিদ্যুৎ বিল অপরিশোধিত থাকায় মো. আবদুল মতিনের নামে মামলা করার কারণে এ অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক ঘটনার সৃষ্টি হয়।

এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি অতীব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে-

১। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আ. মতিনের বাড়িতে গিয়ে তার নিকট দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

২। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, মো. আ. মতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তাকে সান্ত¡না দেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। ৩। মো. আ. মতিনকে আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে।

৪। মো. আ. মতিনের বাড়িতে তাৎক্ষণিকভাবে বিনা খরচে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।

৫। ইতিমধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।

৬। ভবিষ্যতে মো. আ. মতিনকে পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডে উপযুক্ত চাকরি দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে চেয়ারম্যান জানান।

এ ব্যাপারে আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈনউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অলরেডি এ ঘটনায় ১১ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। শুধু নিচের দিকের কর্মচারী নয়, ডিজিএমের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যারা মতিনের জায়গায় অন্য কাউকে সংযোগ দিল, এরপর ওই লোকের নামে বিল না দিয়ে মতিনের নামে বিল পাঠাচ্ছিল, যারা সরাসরি জড়িত তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview