Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে চাহিদা মেটাতে না পেরে যুবকের মৃত্যু

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৪৪ PM
আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


নওগাঁর মান্দায় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে বাবুল হোসেন বাবু মোল্লা (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সে মৃত্যুবরণ করে। মৃত বাবু পেশায় ছিলেন ভটভটি চালক। তিনি একই উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের চেরাগপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। সে এক সন্তানের জনক।

পুলিশ ও চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে ধারণ করছে, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খাওয়ার পর যৌন চাহিদা মেটাতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে (হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে) তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, নারী নির্যাতন মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের বানিসর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের বিধবা স্ত্রী পারভীন বিবিকে (৪৫) ধরতে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পারভীন বিবির ঘরে বাবু মোল্লা অবস্থান করছিল। পুলিশ পারভীনকে গ্রেফতারসহ বাবুকেও হেফাজতে নিয়ে থানায় ফিরছিল। পথে বাবু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলার কিছু সময়ের মধ্যেই বাবুর মৃত্যু ঘটে।

আসামি পারভীন বিবি বলে, ‘মোবাইলফোনের মাধ্যমে ভটভটি চালক বাবুর সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করে রাতে একই সঙ্গে থাকার কথা বলে আমার বাড়িতে আসে বাবু। রাতে একই ঘরে অবস্থানের সময় পুলিশ আমাদের দুজনকে আটক করে।’

সে আরও বলে, ‘পুলিশ আমাদের নিয়ে থানায় ফেরার পথে বাবু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই বাবুর মৃত্যু হয়।’

মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিজয় কুমার বলেন, ‘ভোর রাতে বাবুকে নিয়ে পুলিশ হাসপাতালে আসে। এ সময় বাবু জানায়, রাতে সে দুইটি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে পারভীন বিবির ঘরে ঢোকে। এর কিছু সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এরপর থেকে বাবু অসুস্থবোধ করতে শুরু করে। বাবুর ভাষ্য অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করা হয়। এর কিছু সময়ের মধ্যে বাবু জ্ঞান হারিয়ে, হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়।

এ দিকে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাবুর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুশফিকুর রহমান। এ সময় বাবুর মা-বাবা, ভাইসহ আত্মীয়-স্বজন, মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও জানান, নিহত বাবুর শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের মাধ্যমে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, নিহত বাবুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview