বাজারে সব ধরনের পণ্যসামগ্রী, আনাচ-তরকারির দাম আকাশছোয়া। সাধারণ মানুষ যেন সেদিকে ঘেঁষতে পারছে না। প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দাম। তবে এ দাম কিন্তু কৃষক পাচ্ছে না। খেটে খাওয়া মানুষের অর্থের যোগানও বেশি বাড়ছে না। এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি লেখেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আব্দুল ওয়াদুদ।
চিঠিটি তুলে ধরা হলো।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
আসসালামুয়ালাইকুম।
আমি এই দেশের একজন সাধারণ নাগরিক। ছোট্ট একটা আবদার নিয়ে চিঠিটা লিখছি। এই ছোট মানুষের আবেদন আপনার নিকট পৌঁছাবে কিনা আমার তাও জানা নেই। তবু আপনি এই দেশের উন্নতির ধারা বজায় রাখার জন্য যা করছেন তা কখনোই হয়নি। কাজগুলো আমাদের চোখে ধরা দিচ্ছে। তাই একটাই আমা আমার চিঠিটা আপনার চোখে পড়বে এবং বিষয়টা নিয়ে ভেবে দেখবেন।
দেশমাতা, ছোট বিষয়ে আপনার কাছে জানানোটা আসলে ঠিক না, কারণ আপনি অনেক বড় বড় বিষয় নিয়ে ব্যাস্ত। অনেক লোক নিয়োগ করা আছে এসব কাজের জন্য তাও খুবই কষ্ট নিয়ে আপনার কাছে লিখতে বসা।
বর্তামানে বাজারের যেই হারে সবকিছুর মূল্য বাড়ছে, তাতে করে আমার কিংবা আমাদের মত মধ্যবিত্তদের জীবন চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। কাল বাজারে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমি ভাবছি আমার বাবার কথা, তার তো বেতন বাড়ছে না। রিক্সাওয়ালাদের কথা। খেটে খাওয়া মানুষের কথা। তারা কিভাবে সংসার চালাচ্ছে আল্লাহ ভালো জানেন।
বিষয়টা আপনি জানেন কি না জানি না, সব জিনিসের দাম বাড়তি। ১০/২০ টাকা করে বেড়েই গেছে দাম। আমরা আপনার সন্তান এর মতই, বিষয়টা আপনি একটু দেখবেন।
আমি খুবই সাধারণ একজন নাগরিক এই দেশের। আপ্নার উপর পূর্ণ আস্থা আছে আপনি খুব দ্রুত এই বিষয়টা দেখবেন এবং সমাধান করবেন। জানি না এই কথাগুলো আপনার পর্যন্ত পৌঁছাবে কি না তা জানি না। তবে আশা নিয়ে লিখলাম।
হে দেশরত্ন, যদি কথাগুলো আপনার পর্যন্ত পৌঁছায় তবে বাজারের দাম এর বিষয়টা একটু দেখবেন এবং আমার কথায় কোনো ভুল থাকলে ক্ষমা করে দিবেন।
ইতি
আব্দুল ওয়াদুদ
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি