Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৬৫ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ; কাফনের কাপড় পরে জেলেদের বিক্ষোভ

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:৫৮ PM
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ৬৫ দিন ইলিশ ধরা বন্ধের প্রতিবাদে বরগুনার পাথরঘাটায় জেলা মৎসজীবী ট্রলার মালিক সমিতির আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) পৌর শহরের শেখ রাসেল স্কয়ারে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন জেলার মৎসজীবীরা। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রীর বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন তারা।

জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তাব্য রাখেন, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জাবির হোসেন, পৌর প্যানেল মেয়র রোকনুজ্জামান রুকু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুর রহমান জুয়েল, কালমেঘা ইউপি চেয়ারম্যান আকন মো. শহিদ, বণিক সমিতির সভাপতি অরুন কর্মকর প্রমুখ।

মানববন্ধনে উপজেলা পরিষদ, পৌর পরিষদ, বনিক সমিতি, ফিশিং বোট মালিক সমিতি, মৎস পাইকার সমিতি ও রাজনৈতিক দলগুলো একাত্মতা প্রকাশ করেন।

প্রতিবছর ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকলে বাংলাদেশি জেলেরা ইলিশ শিকারে বিরত থাকে। এ ছাড়াও জাটকা নিধনের ক্ষেত্রে ৯ মাস নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বরগুনার জেলেরা নিয়ম মেনে চলছে।

২০১৫ সালের মৎস ও প্রণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মৎস আইনে সংশোধিত ২০১৫ সালের ১৯ ধারায় প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ট্রলিং জাহাজ মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও উপকূলের জেলেরা মাছ শিকার করতে পারত। কিন্তু এখন উপকূলীয় জেলেদেরও একই আইনের আওয়তায় আনা হয়েছে।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সালের মেরিন ফিশারিজ অর্ডিনেন্স এর সেকশন ৫৫ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রুলস ১৮ এর সংশোধিত ১৯ ধারা বাতিল করে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আগের মত স্বাভাবিকভাবে মাছ শিকার করতে পারে বলে তার দাবি জানান। উপকূলীয় জেলেদের এই আইনের আওয়তায় আনায় তাদের না খেয়ে জীবন যাপন করতে হবে বলে জানান জেলেরা।

এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বরগুনার জেলার জেলেরা সরকারের নিয়ম মেনে চললেও ট্রলিং জাহাজের জেলেরা ও মালিকরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা না মেনে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় এলাকায় এসে ছোট-ছোট মাছ শিকার করে। এ সময় উপকূলীয় জেলেদের মারধরের অভিযোগও করছেন তারা।

সুন্দরবন কেন্দ্রিক সশস্ত্র জলদস্যূ বাহিনী ও পার্শবর্তী দেশের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমানায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছে এমন অভিযোগ তুলে সরকারের কাছে এগুলো বন্ধের আহ্বান জানান বক্তারা।

Bootstrap Image Preview