Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সুদের প্রলোভনে ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:০৮ PM
আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৩:০৮ PM

bdmorning Image Preview


বরিশালে অধিক হারে সুদ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কর্মকারের বিরুদ্ধে শতাধিক গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া।

শুক্রবার রাতে নগরীর কাটপট্টি রোডে গোপাল কর্মকারের বাস ভবনের সামনে পাওনাদাররা হট্টগোল শুরু করলে পুলিশ এসে গোপাল কর্মকারের স্ত্রী রূপা কর্মকার, মেয়ে মিথিলা ও সারথী কর্মকারকে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় পলাতক গোপাল কর্মকারের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। পাশাপাশি ৩৪ ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে থানা পুলিশ। শতাধিক পাওনাদারের মধ্যে অভিযোগ দায়েরকারী ৩৪ জনের কাছ থেকে গোপাল ৭ কোটি টাকা নিয়েছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, নগরীর কাটপট্টি এলাকার বাসিন্দা এবং কাটপট্টির আদি অলংকার ভবন, অলংকার ভবন ও মোনালিসা জুয়েলার্সের মালিক গোপাল কর্মকার দীর্ঘদিন ধরে সুদের কারবার করে আসছিলেন। বিভিন্ন সময় গ্রাহকরা টাকা চাইলেও গোপাল টালবাহানা করে সটকে পড়তেন নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে। গোপালের পরিকল্পনা ছিল ওই টাকা নিয়ে পরিবারসহ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহকরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা গেছে, অভিযোগকারীদের মধ্যে গোবিন্দ সাহার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা, বনানী দত্তের কাছ থেকে ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকা, গোপাল সাহা ৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা, রিতা পাল ৩ লাখ টাকা, বন্যা দাস ২৫ হাজার টাকা, মিন্টু সরদার ৪ লাখ টাকা, প্রদীপ দাস ৭ লাখ টাকা, সুকুমার ৫ লাখ টাকা, চৈতী দাস ৪৭ হাজার টাকা, ইমরান ভূঁইয়া ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা, তুলসী রানী ৩ লাখ টাকা, রিতা কর্মকার ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, মিনু রানী ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রাম কৃষ্ণ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, সুমন পাল ৭ লাখ টাকা, নীল কমল ২ লাখ টাকা, জাফর মিয়া ১১ লাখ টাকা, লুৎফুন্নেসা ৪২ লাখ টাকা, ইমরান ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা, বিশ্বনাথ ১০ লাখ টাকা, সুমন দেবনাথ ৩৬ লাখ টাকা, নুরুল ইসলাম ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, মিন্টু দাস ৩৫ লাখ টাকা, বিপ্লব ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মানবেন্দ্র সাহা ৯৬ লাখ টাকা, মাহিনুর ৯১ লাখ ৯১ হাজার টাকা, শাহিনুর ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রিয়াজ ৬ লাখ টাকা, জাকির হোসেন ৪৬ লাখ টাকা, সখিনা ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, সুফিয়া ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, জহিরুল ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও সোহেলী পারভীনের কাছ থেকে ১০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা নিয়েছিল গোপাল কর্মকার।

এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কর্মকারের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া ৩৪ গ্রাহক তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করেছেন। আমরা শুনেছি, গোপাল কর্মকার প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।

Bootstrap Image Preview