পবিত্র শা’বান মাসের চাঁদ দেখার সিদ্ধান্ত নিতে আয়োজিত ইফার মিটিংয়ে খাগড়াছড়ি ও মুন্সিগঞ্জ থেকে আগত ১৭ জন প্রত্যক্ষদর্শীর স্বাক্ষ্য শোনেননি জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। বরং তাদের গঠিত কমিটিতে রুইয়াতিল হিলাল মজলিশ থেকে অথবা দেশের সুন্নী কোন আলেম উলামাদের কমিটিতে রাখা হয়নি। বরং একতরফাভাবে একটি বিশেষ মতাদর্শী গোষ্ঠীর উলামাদের দিয়ে একটি বিতর্কিত কমিটি করা হয়েছে। যা গ্রহণযোগ্য নয়।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে শামসি ও হিজরী ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ইফা স্বাক্ষীদের সাথে কথা বলবে তাই স্বাক্ষীগণ সুদূর খাগড়াছড়ি থেকে এসেছেন। তারপরও উপস্থিত স্বাক্ষীদের কথা বলতে দেয়া হয়নি। উপস্থিত স্বাক্ষীর মাধ্যমে আজই যা ফায়সালা করা যেতো সেটা বিতর্কিত কমিটির কমিটি করার মাধ্যমে বিলম্বিত করা হয়েছে।
সেমিনারে বক্তারা আরো বলেন, মুসলমানদের ইবাদত বন্দেগীর জন্য হিজরী ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি শামসী বা সৌর ক্যালেন্ডারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাস শুরু এবং শেষ, বিশেষ দিন নির্ধারনে চাঁদের ক্যালেন্ডারের যেমন প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তেমনি ওয়াক্ত নির্ণয়ে প্রয়োজন রয়েছে সৌর ক্যালেন্ডারের। সেজন্যই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক স্মরণে রচিত পূর্ণাঙ্গ ও প্রথম ইসলামী সৌর ক্যলেন্ডার হলো “আত তাকউইমুশ শামসী”। সেমিনারে বক্তাগণ, সরকারীভাবে বাংলাদেশে এবং সারা মুসলিম বিশ্বে এই শামসী ক্যালেন্ডারের প্রচলন ও প্রচারের আহবান জানান।
সেমিনারে আরো আলোচনা করেন, দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মুফতিয়ে আ’যম আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ।
চাঁদ দেখা মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়া দুই জেলার ১৭ জন প্রত্যক্ষদর্শী:
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার হাতীমুড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফিয মুহম্মদ মূইনুল ইসলাম পারভেজ এবং মসজিদের মুসুল্লী হাফিয মুহম্মদ সোহেল, মুহম্মদ শহীদ মীর, মুহম্মদ আব্দুল মান্নান, মুহম্মদ আবু তাহের, সাইফুল ইসলাম, মুহম্মদ হাসান, মুহম্মদ চাঁন মিয়া, মুহমম্দ শাহ আলম, মুহম্মদ রফিক, মুহম্মদ আল আমীন, মুহম্মদ মিজান, মুহম্মদ দৌলত, মুহম্মদ জালাল আহমদ, মুহম্মদ শহীদুল ইসলাম।
মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জ জেলার মুক্তারপুর পঞ্চসার ইউনিয়নের মালিরপাথর গ্রামের বাইতুল মামুর জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতীব মাওলানা মুহম্মদ মুহিবুল্লাহ, মুসল্লি মুহম্মদ মিজানুর রহমান।