নুসরাত জাহান রাফির জানাজায় অংশ নিতে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু পাড়া-প্রতিবেশি সহ সোনাগাজীর সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে সোনাগাজীতে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় রাফির লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌছায় সোনাগাজীর বাড়িতে। এসময় স্বজনদের কান্না আর সর্বস্তরের মানুষের ক্ষোভ চোখে পড়েছে সর্বত্র। নিকটাত্মীয়দের শেষবারের মতো এক নজর দেখিয়ে বিদায় দেয়া হয় নুসরাত রাফিকে
অশ্রুচোখে মেয়ে নুসরাতের জানাজা পড়ালেন বাবা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সোনাগাজী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নুসরাতের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন নুসরাতের বাবা একেএম মুসা মানিক। জানাজা শেষে নিজ মেয়ের লাশের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এত মানুষের ঢল শুধু নামাজের জানাজায় অংশ নেয়াই উদ্দেশ্য নয়। এটা এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদও বটে। মাঠে উপস্থিত হয়েছেন, নুসরাতের বাবা-ভাইসহ স্বজনরা। নামাজের আগে বক্তব্য দেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।
জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদির কবরের পাশে নুসরাতকে দাফন করা হয়। এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায় নুসরাতের নিথর দেহ।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত জাহান রাফি মারা যান।
৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। ওই সময় তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করেছে এক ছাত্রীর এমন সংবাদে ভবনের চারতলায় যান তিনি।
সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচ ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়।