Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে চারটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: পলক

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:১২ PM
আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:১২ PM

bdmorning Image Preview


তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে চারটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে সে পথে অগ্রসর হচ্ছে দেশ।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বহুমাত্রিক অংশীদারদের প্ল্যাটফর্ম ডব্লিউএসআইএস ফোরামের ‘ডব্লিউএসআইএস অ্যাকশন লাইন-২০৩০’ শীর্ষক  পলিসি সেশনে আলোচক হিসেবে এ কথা বলেন।

উক্ত সেশনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।

প্যানেল আলোচনায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়ন ও বিকাশে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুতগতির ইন্টারনেটের যুগে নিজ সোসাইটির ট্রান্সফর্মেশন করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছেন। এই রূপকল্প বাস্তবায়নে চারটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সেই চারটি পিলার হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টানেটের সংযোগ দেয়া, ই-গভর্নেন্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত গড়ে তোলা। এই চারটি পিলারে বাংলাদেশকে দাঁড় করানো হচ্ছে’।

পলক বলেন, সবাইকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে বিগত আট বছরে সরকার অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিগত ৩ বছরে সকল সরকারি অফিসকে ইন্ট্রা-নেটওয়ার্ক এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং বর্তমানে ইনফো সরকার-৩ ও কানেকটেড বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারাদেশকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, থ্রি এ স্ট্র্যাটেজি রয়েছে ইন্টারনেটের জন্য। ইন্টারনেট যেহেতু ফুলফিলমেন্ট অব দ্যা সোসাইটি হবে তাই এটির অ্যাভেইলেবল, অ্যাফোর্টেবিলিটি ও অ্যাওয়ারনেস নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

২০৩০ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারের ওয়াইফাই (উইমেন আইসিটি ফ্রন্ট্রিয়ার ইনিশিয়েটিভ) প্রকল্প চালু রয়েছে। রয়েছে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জ নারীদের জন্য প্রকল্প।

প্যানেল আলোচনায় তিনি আরো উল্লেখ করেন, গ্রামের অনেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে ইন্টারনেট পাচ্ছে। ইনফো সরকার-৩ এর মাধ্যমে দেশের ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক ক্যাবল সংযোগের আওতায় আনা হচ্ছে। দেশের সকল ডিজিটাল সেন্টারে (ইউডিসি) বিপিও সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ইডিসিতে দুই লাখ ফিক্স ব্রডব্যান্ড সংযোগ বসছে।

এছাড়াও লার্নিং-আর্নিং, শি পাওয়ার, এলআইসিটি, সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় প্রশিক্ষণ, আইডিয়া প্রকল্পের আওতায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন, এ সকল প্রকল্পের আওতায় অনেক তরুণ তরুণীর প্রশিক্ষণ নিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে দেশে তিন লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তাদের কর্মসংস্থানও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মাধ্যমেই করা হবে।

সেশনে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণকারী মন্ত্রীগণ বাংলাদেশের এসব কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

Bootstrap Image Preview