Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘আমি জড়িত প্রমাণ হলে আমি নিজেই আমার বিচার দাবি করছি’

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ১০:০৮ PM
আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ১০:০৮ PM

bdmorning Image Preview


মাদারীপুরের কালকিনিতে গত ৪ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে ও তার চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ডাসার থানার উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ও বালিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিন মোল্লা বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ধষর্ণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ ওঠে।

এ অভিযোগের পর বুধবার দুপুরে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে করেন মতিন মোল্লা।

তিনি বলেন, দুই মাদ্রসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মীমাংসার নামে অর্থের বিনিময়ে তার নাম উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি মহল তার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘এই ধর্ষণের ঘটনায় কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি জড়িত। তাহলে আমি নিজেই আমার বিচার দাবি করছি। নয়তো যারা এর সাথে জড়িত আমি তাদের বিচার দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে মতিন মোল্লা বলেন, ‘গত ৪ এপ্রিল কালকিনি উপজেলার ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় দুই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হলে থানায় মামলা হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত সুবিধার্থে একটি মহল ৩ লাখ টাকায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার হচ্ছে বলে আমরা নাম ব্যবহার করেছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, যা মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘প্রতিপক্ষ ও একটি কুচক্র মহল ধর্ষণের ঘটনা উল্টো দিকে মোড় ঘুরাতে আমার নাম ব্যবহার করছে। এছাড়াও ওই মহলটি ডাসার থানার এসআই দেলোয়ারের সাথে আমার যোগসূত্রের কথা বলছে। কিন্তু এই ঘটনায় এই এসআইয়ের সাথে আমার কোন যোগাযোগ হয় নাই। তার বিষয় আমি কিছুই জানিও না। যারা না জেনে বুঝে আমার কথা বলছে তাদের প্রতি তিনি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

বালিগ্রাম ইউনিয়ন সাবেক এ ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানায়, ‘গত ৪ এপ্রিল অপ্রীতিকর অবস্থায় দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এরপর স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই দুই কিশোরীর কথা শোনে। এরপর পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ায় পরের দিন রাতে চার তরুণকে অভিযুক্ত করে মামলা নেয়।’

মতিন মোল্লা বলেন, ‘মামলা হওয়ার আগে ওই দুই কিশোরীর পরিবার আমার কাছে আসে। এবং এই ঘটনায় আমি তাদের বিস্তারিত বলতে বলি। পরে তারা বিস্তারিত জানায়নি। পরেদিন সকালে আমার কাছে আসার কথা। এরপর তারা আর আমার কাছে আসেনি। পরে আমিও আর খবর নেইনি।’

ধর্ষণের ঘটনায় মামলার বাদি বলেন, ‘আমি মামলা বুঝি না। তাই গ্রামের মাদবরদের কাছে এসেছিলাম বিচার পেতে। কিন্তু পরে পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে টিপসই দিয়ে বললো মামলা হয়ে গেছে। এরপর থেকে আমি তো কিছুই জানি না।’

ডাসার থানার কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এ ঘটনা একটু দেরিতে মামলা হয়। এছাড়াও এলাকার লোকজনদের কারণে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে গেছে। আসামি গ্রেফতারে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এদিক দিয়ে আমাদের কোন গাফিলতি নেই। আশা করছি আমরা খুব দ্রুতই আসামিদের গ্রেফতার করতে পারবো।’

উল্লেখ্য গত ৪ এপ্রিল মাদারীপুরের কালকিনিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে ও তার চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ডাসার থানার উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ও বালিগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিন মোল্লা বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে এ অভিযোগ তারা অস্বীকার করেন। এই নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিশিনে সংবাদ প্রচার হয়।

Bootstrap Image Preview