Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নাটোরে কালবৈশাখী ঝড়ে শিশুর মৃত্যু        

অমর ডি কস্তা, নাটোর প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ০১:০৬ PM
আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ০১:১০ PM

bdmorning Image Preview


নাটোরে কালবৈশাখী ঝড়ে সার্থী খাতুন (৭) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এই ঝড়ে অন্তত ২০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া গাছপালা ভেঙ্গে পড়ার কারণে বড়াইগ্রাম, লালপুরসহ অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নাটোর সদর, বড়াইগ্রাম, লালপুর, নলডাঙ্গা, গুরুদাসপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। এ সময় গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকার মজনু মিয়ার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সাথী খাতুন ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গেলে গাছের ডাল ভেঙ্গে তার মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

এছাড়া ঝড়ে নলডাঙ্গা উপজেলায় অন্তত ২০টি বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। বড় বড় গাছ বাড়ির উপরে পড়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঝড়ে বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে কখন নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২ এর জেনারেল ম্যানেজার। তবে বৈদ্যুতিক লাইন স্বাভাবিক করতে মাঠে কাজ চলছে।

অপরদিকে, দিঘাপতিয়া গণভবনের সামনে মরা গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া রাস্তার উপরে গাছ পড়ে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঝড়ে সু-প্রাচীন একটি পাম্প গাছ গোড়া ভেঙে বিদ্যুৎ লাইনের উপর পরে। এতে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা গাছটি রাস্তা থেকে অপসারণ করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডেপুটি কালেকক্টরেট অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আর গাছের ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

Bootstrap Image Preview