বাংলাদেশি চিকিৎসক প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদ এনামকে পাঠানো ইমেইল বার্তার জবাবে নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন ধন্যবাদ জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, এখন আমার সব ধ্যান তাদের ঘিরে যারা ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনায় অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। নিউজিল্যান্ডবাসীর মতো আমিও আমার হৃদয়ের সব ভালোবাসা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মুসলমান সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছি। আমি এও বলছি, আমি তাদের পাশে আছি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকালে বাংলাদেশি চিকিৎসক প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদ এনামকে পাঠানো ইমেইল বার্তায় নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বর্তমানে ডা. সাঈদ এনাম সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
বাংলাদেশি ওই চিকিৎসকের উদ্দেশে নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমার সব চিন্তা ভালোবাসা তাদের ঘিরেই যারা এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তাদের প্রতি আমার এ ভালোবাসা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা আজীবন থাকবে।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদের হামলার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নকে ইমেইল করেছিলেন বাংলাদেশের এক চিকিৎসক। ওই ইমেইলে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের ভূমিকা ও তার কিছু বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন বাংলাদেশি চিকিৎসক।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে ইমেইল পাঠান বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. সাঈদ এনাম ওয়ালিদ। বাংলাদেশি চিকিৎসকের দেয়া ওই ইমেইলের পাঁচ দিন পর এর জবাব দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
এ ব্যাপারে ডা. সাঈদ এনাম জানিয়েছেন, জাসিন্ডা আরডার্ন আমার সেই মেইলের রিপ্লাই দিয়ে ধন্যবাদ দিয়েছিলেন। এটা অটো রিপ্লাই নয়। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ধন্যবাদ ও মতামত জানানো হয়। আমার মতো একজন ব্যক্তির মেইলের জবাব দিয়ে তিনি আবারো প্রমাণ করলেন, তিনি সত্যিই একজন মহানুভব নেতা।
তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার কার্যালয়ের একান্ত সচিব ডায়না অকেবা ডা. সাঈদ এনামকে মেইলটি প্রেরণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর ও লিনউড মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন ৫০ জন। কট্টর শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী ২৮ বছরের ব্রেনটন ট্যারেন্ট এ হত্যাযজ্ঞ চালায়। নিহতদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি ও ৯ জন পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন।