ডাকসু নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল, কেন্দ্র দখল, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ নিয়ে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আন্দোলনের জিএস প্রার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানকে।
আগামী রবিবার দুপুর ১২টায় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাশেদ নিজেই।
উল্লেখ্য, ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগ ছাড়া সবগুলো প্যানেলই নির্বাচন বর্জন করে। এরপর থেকেই পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেলগুলো।
এসবের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ডাকসুর পুনর্নির্বাচনের আবেদন করেন জিএস প্রার্থী কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০১৯ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বরাবর লেখা চিঠিতে রাশেদ খান অভিযোগ করেন, ডাকসু নির্বাচনে সংগঠিত হওয়া জালিয়াতি, কারচুপি ও অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে দেশের সব খ্যাতনামা গণমাধ্যমে, যা ভোটের দিন আমি স্বচক্ষে দেখেছি এবং জালিয়াতি, কারচুপি ও অনিয়মের প্রমাণগুলো এই আবেদনের সংযুক্তি অংশে ২০টি সংযুক্তি যুক্ত করেছি। আমি মনে করি, এসব জালিয়াতি, কারচুপি ও অনিয়মের ঘটনা এড়িয়ে যেতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তিনি বলেন, 'আমার দাখিলকৃত প্রমাণসমূহ সাপেক্ষে, আমার পদের সব ভোট সাংবাদিকদের সামনে পুনঃগণনা করতে হবে। শুধু তাই নয়, এই ডাকসু নির্বাচন ২০১৯-এর পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পুনরুদ্ধার ও ছাত্রসমাজের দাবিকে আমলে নিয়ে ডাকসু নির্বাচনের ফলকে বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের ফের দাবি করেন রাশেদ।