১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই সোচ্চার ভূমিকায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনাও দেখা দেয়, যদিও পরে তা প্রশমিত হয়।
অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত উগ্রপন্থী শ্বেতাঙ্গ ২৮ বছর বয়সী সন্ত্রাসীর ওই হামলায় ৫১ জন মুসল্লি নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয় অন্তত ৬০ জন।
এরদোয়ান বৃহস্পতিবার রাজধানী আঙ্কারার আতাকুলে টাওয়ারে যুবকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে দেশের যুবকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন। আর এ অনুষ্ঠান বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ প্রচার করা হয়।
ডেইলি সাবাহ বলছে, যুবকদের ওই অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়ন, প্রযুক্তি, গোলান ইস্যুর পাশাপাশি ক্রাইস্টচার্চ হামলা নিয়েও কথা বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মুসলিমবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তুরস্কের সমালোচনায় উদ্বিগ্ন পশ্চিমা বিশ্ব।
এ প্রসঙ্গে এরদোয়ান বলেন, ‘তারা (পশ্চিমা সমাজ) এটা মেনে নিতে পারে না যে, ইস্তাম্বুল আমাদের,’ এবং সে জন্যই তারা এ ধরনের আচরণ করে। সে কারণেই তারা নামাজ পড়ার (নিউজিল্যান্ডে) সময় ৫১ জন মুসলিমকে হত্যা করেছে।’
প্রশ্ন উঠুক বা না উঠুক পশ্চিমা বিশ্ব যথাযথ (হামলা ইস্যুতে) প্রতিক্রিয়া দেখায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এরদোয়ান জোর দিয়ে বলেন, এই হামলা যদি বিপরীত পক্ষ করতো, অর্থাৎ দায়েশ (আইএস) সন্ত্রাসীরা যদি চার্চে হামলা করতো তাহলে পশ্চিমারা বিশ্বে আগুন লাগিয়ে দিত; কিন্তু এ ব্যাপারে তারা নীরব রয়েছে।
গণমাধ্যটি বলছে, যুবকদের সঙ্গে এরদোয়ানের এই অনুষ্ঠান ৩৪ লাখ লোক টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে লাইভ দেখেছেন।