রমজানে দ্রব্যমূল্য বেড়ে ‘মুখে যেন কালি না পড়ে’: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে কোনো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না এবং সরবরাহে ঘাটতি থাকবে না। বাজারে চাহিদার তুলনার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অনেক বেশি মজুত রয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের সততার সাথে ন্যায্য মূল্য পণ্য বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের স্থানীয় উৎপাদন, আমদানি, মজুত অবস্থা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এ সময় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য বেড়ে ‘মুখে যেন কালি না পড়ে’।

গত বছরের তুলনায় অনেক পণ্যের মূল্য কম রয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরবরাহ চেইনে কোনো সমস্যা নেই। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সংগত কোনো কারণ নেই। পণ্য পরিবহনে যাতে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি জেলার প্রশাসন এ বিষয়ে উপযুক্ত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে দায়িত্বশীল আচরণ করে ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পণ্যের উৎপাদনকারী ও আমদানি কারকরা পণ্য বিক্রয়ের সময় রশিদ সরবরাহ করবে, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা সে মোতাবেক যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করবেন। কৃত্তিম উপায়ে কোনো ধরনের পণ্যের সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, আমদানি ও পরিবহন ক্ষেত্রে এসকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলাচল নিশ্চিত করা হবে। কোথাও কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। দেশে উৎপাদিত পণ্য উৎপাদনে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সভায় বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান জ্যোতিময় দত্ত, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. মফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, টিসিবি এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ এনবিআর, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা এবং বিভিন্ন বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।