ফের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাস অন্ধকার নগরীতে রূপ নিল। একদিনের ব্যবধানে দুই বার বিদ্যুত্ বিপর্যয়ে রাজধানীবাসীকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
সোমবার প্রথম দফা ‘ব্ল্যাক আউটের’ চার ঘণ্টা পর বিদ্যুত্ সংযোগ স্বাভাবিক হলেও রাতে ফের বিপর্যয় দেখা দেয়।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এভাবে বিদ্যুত্ বিপর্যয়ের কারণে শহরের গণপরিবহনেও দারুণ প্রভাব পড়ে। হাজার হাজার মানুষকে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়। চলতি মাসের শুরুতে দেশব্যাপী বিদ্যুত্ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। আর এই সুযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে লুটতরাজ ডাকাতির পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
বিরোধীদল অবশ্য এর জন্য ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক সরকারকে দুষছে। তাদের দাবি, গত দুই দশকে দেশটির সমাজতান্ত্রিক সরকার বিদ্যুত্ খাতের উন্নয়নে ব্যর্থ ও দুর্নীতি বেড়ে যাওয়ার ফল এই বিপর্যয়। দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও বিরোধী দলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদোর মধ্যে চলছে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। যার কারণে গত কিছুদিন ধরে দেশটির বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। যার ভুক্তভোগী দেশটির সাধারণ মানুষ। ওইদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে কারাকাস ও আশপাশের শহরগুলোতে বিদ্যুত্ বিভ্রাট দেখা দেয়। মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
প্রায় চার ঘণ্টা পর বিদ্যুত্ এলেও রাত ৯টা ৫০-র দিকে ফের চলে যায় বলে বার্তা সংস্থাকে ইএফই-কে জানান ভেনিজুয়েলার তথ্যমন্ত্রী জর্জ রডরিগুয়েজ। এর আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বিদ্যুত্ বিভ্রাটের জন্য বিরোধীদের দায়ী করেন। যে প্রধান পানিবিদ্যুত্ কেন্দ্র থেকে দেশজুড়ে বিদ্যুত্ সরবরাহ করা হয়, হ্যাকাররা সে পানিবিদ্যুত্ কেন্দ্রটির কম্পিউটারে আক্রমণ চালিয়েছে বলেও জানান রডরিগুয়েজ।