Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভালো ঋণগ্রহীতাদের সুদের হার হবে ৭ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৯, ০৭:৫৯ PM
আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯, ০৮:৫৮ PM

bdmorning Image Preview


অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যারা ভালো ঋণ গ্রহীতা, ব্যাংকের টাকা নিয়মিত পরিশোধ করে তাদের ক্ষেত্রে সুদের হার কমে ৭ শতাংশ হবে। এসব ঋণ গ্রহীতা হয়তো ১০ থেকে ১২ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়েছিলেন। আর যারা অসাধু ঋণ গ্রহীতাদের পেনাল্টি করা হবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে চলতি বছরের মে থেকে।

সোমবার (২৫ মার্চ) শেরেবাংলা নগরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। বৈঠকে ব্যাংক সুদের হার ডাবল ডিজিট থেকে কীভাবে সিঙ্গেল ডিজেটে নামিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে ‘ভালো ও অসাধু ঋণ গ্রহীতার সংজ্ঞা’ দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন,  আমি  ১০ বার ব্যাংক থেকে টাকা নিলাম অথচ দিলাম না, আমি কি ভালো? আমি দুইবার টাকা নিলাম দিলাম না, আমি ভালো? অথবা ১০ বার এক্সপোর্ট করলাম একবারও টাকা ব্যাংকে ঢুকালাম না, তারা কি ভালো? এরা অসাধু এদের খুঁজে বের করে প্যানাল্টির ব্যবস্থা করা হবে।

‘তবে যারা ব্যাংকের টাকা নিয়ে ভালো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন এবং নিয়মিত টাকা পরিশোধ করেন তাদের জন্য সুদ কমানো হবে। ছোট ঋণ গ্রহীতা ও বড় ঋণ গ্রহীতারা ঋণ পরিশোধ করবেন, বাকি ব্যালেন্সে ৭ শতাংশ সুদ হবে। এসব ঋণে হয়তো ১২ অথবা ১৩ শতাংশ সুদ ছিলো। কিন্তু আর এতো সুদ দিতে হবে না, এখন ৭ শতাংশ সুদ দিলেই হবে।’

তিনি বলেন, আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী (আবুল মাল আবদুল মুহিত) এই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিতকায় আমরা বসেছিলাম। আমাদের ব্যাংকার লাগবে, পাশাপাশি ঋণ গ্রহীতাদেরও লাগবে। ঋণ গ্রহীতাদের কোনো বিকল্প নাই। তারাই আমাদের দারিদ্র্য দূর করেন এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেন। তাদের বাদ দিয়ে চলার কোনো উপায় নেই। তাই কীভাবে তাদের সুযোগ-সুবিধা দেয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি।

অর্থমন্ত্রী  মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যবসা করলে সারা জীবন লাভ হবে না। ব্যবসায়ীরা অনেক কষ্ট করেন। কখনও তারা লোকসানের মুখে পড়েন। ব্যবসায়ীদের লাভ হলে সরকার খুশি হয়, কারণ সরকার ট্যাক্স পায়, দেশে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে যখন ব্যবসায়ীদের লোকসান হয় তখন সরকার থেকে তারা তেমন সুযোগ-সুবিধা পান না। আমরা এসব ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করতে চাই।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview