Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রকাশ্যে বিবাদে ভিপি নুর ও জিএস রাব্বানি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০১৯, ০৯:১২ PM
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯, ০৯:১২ PM

bdmorning Image Preview


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসু আজীবন সম্মাননা (অনারারি) সদস্যপদ দেওয়ার প্রশ্নে বৈরিতা দেখা গেছে ভিপি ও জিএসের মধ্যে। ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও জিএস এবং ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী শনিবার সাংবাদিকদের সামনেই তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

নুর প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন সদস্য করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, 'এই ডাকসু নির্বাচন বিতর্কিত। তাই প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সম্মাননা সদস্য করার বিরোধিতা করেছি আমরা কয়েকজন।

জিএস গোলাম রাব্বানী এর বিরোধিতা করে বলেন, একজন এর বিরোধিতা করেছে। এ সময় কিছুটা ক্ষিপ্ত হন নুর। তিনি বলেন, তাহলে আমার কথা আপনিই বলেন।

গোলাম রাব্বানী আবারো কিছু বলতে চাইলে নুর সাংবাদিকদের বলেন তার কক্ষে গিয়ে কথা বলতে। এরপরও রাব্বানী বলতে শুরু করেন, তখন সাংবাদিকরা তার দিক থেকে ক্যামেরা সরিয়ে নেন।

তারপর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক চুপ হয়ে গেলে নুরুল হক নুর আবার কথা বলতে শুরু করেন।

এর আগে শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথম কার্যকরী সভায় অনুষ্ঠি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্য ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়।

তবে এ সময় এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। তার মতে, ডাকসুর এই নির্বাচন অনেকটাই বিতর্কিত। এমন একটি বিতর্কিত নির্বাচনে নির্বাচিত ডাকসু কমিটির মাধ্যমে সম্মানিত প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হোক তা চাই না। বরং পরবর্তীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সেই কমিটি প্রধানমন্ত্রীকে আজীবন সদস্য পদ দিলে সেটাই হবে তার মতো সম্মানিত ব্যক্তির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন।

এর আগে, ডাকসুর প্রথম কার্যকরী সভায় যোগ দেন ভিপি নুরুল হক নুর, জিএস গোলাম রাব্বানীসহ নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন ডাকসুর নবনির্বাচিত জিএস গোলাম রাব্বানী। এরপর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এরপর রাব্বানী কেন্দ্রীয় সংসদের সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় জিএস সভাপতির কাছে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণের অনুমতি নেন। এক বছরের জন্য অনুমতি দেন ভিসি ড. আখতারুজ্জামান।

দীর্ঘ ২৮ বছর বন্ধ থাকার পর ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেন ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ২৩টিতে জয়ী হয় ছাত্রলীগের প্যানেল। এছাড়া ১৮টি হল সংসদের ১২টিতে জয়ী হয় ছাত্রলীগের প্যানেল। বাকি হলগুলোর ভিপি-জিএসসহ বেশকিছু পদে জয়ী হন স্বতন্ত্ররা। আর ডাকসুর সহসভাপতিসহ (ভিপি) দুটি পদে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা জয়ী হন।

Bootstrap Image Preview