ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাতের আঁধারে ঘুম থেকে জাগিয়ে একজনকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভাওয়াল ইউনিয়নের দরজা পুরুড়া গ্রামে অজ্ঞাত এক মোবাইলফোনে কল পেয়ে বেরিয়ে এলে অতর্কিত হামলায় নিহত হয় নুর ইসলাম (৩৮)।
নুর ইসলাম নৌকার সমর্থক ছিলো বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে এলাকাবাসী। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সালথা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই নুর ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে অজ্ঞাত এক মোবাইলফোনে কল পেয়ে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের মান্নান মোল্যার ছেলে নূর ইসলাম (৪০) ঘর থেকে বেরিয়ে এলে কে-বা কারা তার মুখ চেপে ধরে বসতঘরের কিছু দূরে আঙিনার পুকুরের কাছে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গিয়ে প্রথমে মুখের ভেতর মাটি ভরে দিয়ে পরে মাথায় আঘাত করে। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে সে ঘটনাস্থলেই মারা য়ায়। বাড়ির লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘাতক ঐ স্থান ত্যাগ করে পরে পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
নিহতের ফুফাতো ভাই ওমর আজাদ জানান, বাড়ির উত্তর পাশে পুকুরপাড়ে ফজরের আজানের পর বাড়ির লোক নূর ইসলামকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করলে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দিলে স্থানীয় সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে গত ২ মার্চ রাত অনুমানিক ১০টার দিকে নূর ইলামকে বেধড়ক পিটিয়েছিলো একই গ্রামের একদল লোক। সে সময় সে ভোট চাইতেছিলো। সে কারণে মারাত্মক আহত হয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়েছিলো। গত ১২ মার্চ চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়িতে আসেন বলেও বাড়ির লোকজন জানান। আরো জানা যায়, সে ১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় কেন্দ্রের নৌকা প্রতিকের এজেন্ট ছিলো।
সালথা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহতের মরদেহ সুরোহাল রিপোর্টের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।