বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টা। মতিঝিলের বাণিজ্যিক এলাকায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর ভবনের নিচ তলায় থ্রি-পিসসহ নারীদের পোশাকের বেশকিছু আইটেমের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন সুতদেব ডালী। সুতদেব ডালীর মত আরো কয়েকজন বিক্রেতা বসে আছেন। তবে আশপাশে তেমন ক্রেতা নেয়। ক্রেতা না থাকায় সুতদেব ডারীর মত সব বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন।
সুতদেব বলেন, বাহিরে শো-রুমে সেল করি সব সময়। এখানের মেলায় প্রতিবার আসি। অন্যান্য সময় ভালো লাভ হলেও এবার বিক্রি ভালো না। আজ ৪ দিনের মত মেলা চললেও এখনো বিক্রি জমে ওঠেনি। বিক্রি যা হয়েছে তাতে লসেই আছি।
গত ১০ মার্চ থেকে ৫ দিনব্যাপী এই ‘বসন্ত মেলা-১৪২৫ ও ত্রৈমাসিক কারুশিল্প প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এবার বিভিন্ন ধরনের ব্লক, বাটিকের পোশাক, মাটির তৈরি বাহারি সব পণ্য, হস্ত ও কুটির শিল্পপণ্যের ৪৬টি স্টল রয়েছে।
এবারের মেলায় ক্রেতা কম থাকার পেছনে প্রচারণা না থাকাকেই উল্লেখ করেন একাধিক বিক্রেতা।
মুনমুন আক্তার প্রতিবার এ মেলায় অংশ নেন। এবারও অংশ নিয়েছেন, তবে বিক্রি আগের চেয়ে কম বলে জানিয়ে তিনি বিডিমর্নিং বলেন, এবার বিক্রি তেমন হয়নি, যা বিক্রি হয়েছে তাতে চালান উঠেছে কিন্তু লাভ হয়নি।
পুলি, পাটিশাপতা, তেলের পিঠাসহ ৮/১০ পদের পিঠা নিয়ে স্টল সাজিয়েছেন তানিয়া আক্তার। তবে বিক্রি ভালো না হলেও চালিয়ে যাচ্ছেন স্টল। প্রতিবারই এখানে আসেন। তার এখানে আসার সুবাদের অনেক ক্রেতারা তার পিঠার প্রতি ভালো লাগা থেকেই বিভিন্ন সময় অর্ডার করে থাকেন। তাতেই তার পিঠার ব্যবসা ভালো চলে। মূলত এখানে আসিলে তার ঝুলিতে আরো নতুন কিছু ক্রেতা যোগ হয় যারা তার কাছ থেকে অর্ডার করে পিঠা সংগ্রহ করে।
জান্নতুল লুবনার স্টলে রয়েছে দেশি বিদেশী সংগ্রহ। তার বিক্রি ভালো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্যদের তুলনায় আমার বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ‘বসন্ত মেলা ১৪২৫ ও ত্রৈমাসিক কারুশিল্প প্রদর্শনী’র উদ্বোধন করেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান।