Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইসলামে ভিক্ষা করা কখন জায়েজ?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৯ AM
আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৯ AM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


ভিক্ষা একটি সামাজিক সমস্যা ও অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও দিন দিন ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে। ইসলাম ধর্মে নিম্নস্তরের জায়েজ কাজ দুইটি। এক ‘ভিক্ষা’ করা, দুই ‘তালাক’ দেওয়া। আমাদের সমাজের কিছু লোক চরম অলসতার কারণে নির্লজ্জভাবে বেছে নেয় ভিক্ষা পেশা। আবার দেখা যায় কিছু লোক আছে যাদের সম্পদ থাকা স্বত্ত্বেও সম্পদ বাড়ানোর জন্য অন্যের কাছে হাত পাতে।

এব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যখন নামাজ শেষ হয়, তখন তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও সুরা: আল-জুমুআহ, আয়াত:১০।

‘নবীর শিক্ষা করো না ভিক্ষা’ বিখ্যাত প্রবাদটি সবারই জানা। তবুও দেশে দিন দিন ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহল উদ্বিগ্ন। ইতিমধ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিআইপি এলাকাগুলোকে ‘ভিক্ষুকমুক্ত’ ঘোষণা করেছে।

ভিক্ষার বিষয় রাসূল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালার কাছে হালাল কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বা রাগের উদ্রেক সৃষ্টিকারী কাজ হলো স্ত্রীকে তালাক দেয়া ও ভিক্ষা করা।

প্রথমত ইসলামে ভিক্ষাবৃত্তি কঠোরভাবে নিষেধ। তবে একান্ত অপারগ অবস্থায় ভিক্ষার অবকাশ দেয়া হলেও তা পেশা হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।

ন্যূনতম সামর্থ্যবান হলেও ভিক্ষা বা মানুষের কাছে হাত পাতা নিষেধ। ভিক্ষা করা কখন জায়েজ?

বিষয়টি জানার আগে বুঝতে হবে ধনী কাকে বলে? ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী ৩ প্রকার।

১) যার কাছে নেসাব পরিমাণ বর্ধনশীল সম্পদ রয়েছে।

তার ওপর জাকাত এবং সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব। আর তার জন্য সদকা খাওয়া নাজায়েজ।

২) যে বর্ধনশীল নয় এমন সম্পদের নেসাব পরিমাণ মালিক। তার ওপর জাকাত ওয়াজিব নয়। কিন্তু সদকায়ে ফিতর ও কোরবানি ওয়াজিব। তার জন্যও সদকা খাওয়া নাজায়েজ।

৩) যে বর্ধনশীল-অবর্ধনশীল কোনটার নেসাবের মালিক নয়, কিন্তু তার প্রয়োজন অনুযায়ী মাল আছে। তাহলে সে জাকাতও খেতে পারবে, সদকাও খেতে পারবে।

এই তিন প্রকারের কারোর জন্য ভিক্ষা করা জায়েজ নেই।

তবে যাদের কাছে একদিন চলার মতো খাদ্য সংরক্ষিত নেই, তার জন্য ভিক্ষা করা জায়েজ আছে।

কিন্তু কষ্ঠের কথা হচ্ছে, যদি আমরা বর্তমানের ভিক্ষুকদের প্রতি লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাব যে, তাদের অধিকাংশই ভিক্ষা করে মাল বৃদ্ধির জন্য। খাদ্যসংকটে পতিত হয়ে প্রয়োজন পূরণের জন্য নয়।

অথচ এ সম্পর্কে রাসূলের এরশাদ হলো- যে ব্যক্তি নিজের সম্পদ বাড়ানোর জন্য লোকজনের কাছে মাল প্রার্থনা করে, নিশ্চয় সে যেন আগুনের অঙ্গার প্রার্থনা করল। কম প্রার্থনা করুক বা বেশি প্রার্থনা করুক (মুসলিম শরিফ)।

সুতরাং, সম্পদ বৃদ্ধির জন্য যারা ভিক্ষা করে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করে প্রকৃত ভিক্ষুকদের জীবনমান উন্নয়নের ব্যবস্থা করা সরকার ও জনপ্রশাসনের দায়িত্ব।

Bootstrap Image Preview