শরীয়তপুরের জাজিরার এক শিক্ষকের গালে কামড় দিয়ে মাংস তুলে নিয়েছেন আরেক শিক্ষক। গত সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার সিকদারকান্দি গ্রামে মোটরসাইকেল সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষক খালিদ হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা তার ক্ষতস্থানে ৭টি সেলাই দিয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আক্তার হোসেন ব্যাপারী। তিনি স্থানীয় দড়িকান্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আহত শিক্ষক খালিদ এলাকার জাজিরা ব্রাইট স্টার কিন্ডারগার্টেন নামে একটি স্কুলে চাকরি করেন। আক্তার হোসেন ছিলেন খালিদের সাবেক শিক্ষক। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় সিকদারকান্দি এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক খালিদ হাসান। একই সড়ক দিয়ে আরেকটি মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন দক্ষিণ দড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন ব্যাপারী। মোটরসাইকেলকে সাইড দেওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন খালিদ হাসানের বাম গালে কামড় দিয়ে মাংস তুলে ফেলেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে আহত শিক্ষক খালিদ হাসান বলেন, আমি কেন দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলাম এমন অভিযোগ তুলে আক্তার হোসেন আমার ওপর চড়াও হন। এরপর আমাকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে বাম গালে কামড় দিয়ে মাংস তুলে নেন।
দক্ষিণ দড়িকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন ব্যাপারী বলেন, ওই ছেলেটি আমার সাবেক ছাত্র। এলাকায় অনেকবার দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে মানুষের ক্ষতি করেছে। সোমবারও বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। বিষয়টি আমি তার কাছে জানতে চেয়েছি। সে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ওপর চড়াও হয়। তখন আমি বাঁচার চেষ্টা করি। এতে সে নিচে পড়ে যায়। তখন হয়তো আঘাত পেতে পারে। আমি কেন তাকে কামড়াতে যাব? বরং সে আমাকে মেরে আহত করেছে। আর তা লুকাতেএখন মিথ্যাচার করছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলায়েত হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।