Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

যাদের গীবত করলে গুনাহ নেই

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০১৯, ১১:১০ AM
আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯, ১১:১০ AM

bdmorning Image Preview


ইসলামে গীবত হচ্ছে সবথেকে মারাত্মক গুনাহের কাজ। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বহু জায়গায় গীবতের নিষিদ্ধতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তবে শরীয়তের হুকুম অনুযায়ী কিছু কিছু ক্ষেত্রে গীবত করলে গুনাহ হয় না। আসুন জেনে নিই সেসব ক্ষেত্রগুলো-

১. যুলুম বা বে-ইনসাফির প্রতিবাদ। কোনো মযলুম অথবা বে-ইনসাফির শিকার ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে কোনো যালিম কর্তৃক সংঘটিত যুলুম বা বে-ইনসাফির উল্লেখ করতে পারবে এমন কোনো ব্যক্তির উপস্থিতিতে যে ঐ যালিমকে ঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারবে।

২. কোনো যুলুম বা বে-ইনসাফির পরিবর্তনে এবং যালিমকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে অন্যদের সাহায্য কামনা করতে তার যুলুম ও অনিষ্টতার কথা আলোচনা করা যাবে।

৩. নির্দিষ্ট বিষয়ে ফতোয়া জিজ্ঞাসা। যদিও মুফতির কাছে ফতোয়া চাইতে গেলে ঐ যালিম ব্যক্তির ব্যাপারে আকারে-ইঙ্গিতে জিজ্ঞাসা করাই ভাল।

৪. কোনো অনিষ্টকর বিষয়ে মুসলিমদের সতর্ক-সাবধান করা। যেমন কেউ কোন মুত্তাকি ব্যক্তিকে ওই দুষ্ট চরিত্রের লোক সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে যার কাছে সে নিয়মিত যাতায়াত করে কিন্তু তার চরিত্রের অন্ধকার আর অনৈতিক দিক সম্পর্কে সে জানে না।

বিবাহ এবং টাকা জমা রাখার ব্যাপারে পরামর্শের ক্ষেত্রেও এরকম করা যায়। তবুও যার সাথে পরামর্শ করা হয়েছে কোনো অনিষ্টকর বিষয়ে সতর্ক করার ক্ষেত্রে তার উচিত হবে বিদ্বেষমূলক কথা কিংবা নিন্দা-অপবাদের মাধ্যমে নয় বরং এটা করতে হবে আন্তরিক উপদেশের মাধ্যমে।

৫. যদি কোনো লোক নির্দিষ্ট কিছু উপাধি যেমন খোঁড়া কিংবা ঝাপসা চোখ হিসেবে পরিচিত হয় তাহলে ঐ নামে ডাকলে গীবত হবে না কিন্তু অন্য কোনো উপায়ে যদি তাকে চেনা যায় তাহলে ঐ উপায় অনুসরণই কর্তব্য।

৬. যদি কেউ জনসম্মুক্ষে অনৈতিক কিংবা অশ্লীল কাজে লজ্জিত বোধ না করে তাহলে তার এরকম আচরণের ব্যাপারে অন্য কাউকে জানানো গীবত নয়।

Bootstrap Image Preview