আল্লাহ তায়ালা মানব জাতীকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদাতের জন্য। নারী-পুরুষ সৃষ্টির পর আল্লাহ তায়ালা তাদের উভয়কে বিভিন্ন দায়িত্বও প্রদান করেছেন। নারীদেরকে যেহেতু আল্লাহ তায়ালা পুরুষের তুলনায় দুর্বল করে সৃষ্টি করেছেন ফলে তাদের দায়িত্বকেও সহজ করেছেন।
কুরআনে পাকে তিনি সে ঘোষণা দিয়ে বলেন, হে মানব সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে একটা প্রাণ হতে সৃষ্টি করেছেন। ও তা থেকে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন। যিনি তাদের দু’জন থেকে বহু নারী-পুরুষ (পৃথিবীতে) সৃষ্টি করেছেন। (সুরা নিসা: আয়াত ১)
শুধু তা-ই নয়, জীবন ও দায়িত্বকে সহজ করার পাশাপাশি তাদের জান্নাতের যাওয়ার পথকেও সহজ করা হয়েছে। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি এমনই ঘোষণা দিয়েছেন- হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথ আদায় করবে, রমজানের রোজা ঠিকভাবে রাখবে, (নিজেদের) সতীত্ব রক্ষা করবে এবং স্বামীর আনুগত্য করবে, সে নারীকে বলা হবে, তুমি জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ কর।’ (মুসনাদে আহমদ)
সংসার পরিচায়নায় আয়-উপর্জন করার দায়িত্ব নারীদের ওপর চাপানো হয়নি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় যাবতীয় ঝামেলার কাজও তাদের দেয়া হয়নি। এভাবে অনেক কষ্টকার ও কঠিন কাজ থেকে নারীদের অব্যহতি দিয়ে তাদের জীবন ও দায়িত্বকে সহজ করে দেয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, জীবন ও দায়িত্বকে সহজ করার পাশাপাশি তাদের জান্নাতের যাওয়ার পথকেও সহজ করা হয়েছে। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী কোনো নারীর মাঝে ৪টি গুণের সমন্বয় হলে তার জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে।
১) যে নারী সময় মতো যথাযথ নামাজ আদায় করেন।
২) যে নারী তার স্বামীর অনুগত স্ত্রী হন।
৩) যে নারী রমজান মাসের রোজা পালন করেন। এবং
৪) যে নারী তার লজ্জাস্থানের হেফাজত করেন। সে জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
অপর এক হাদিসে নবি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের জবান ও যৌনাঙ্গকে হেফাজত করার দায়িত্ব নেবে, আমি তাকে জান্নাতে পৌঁছানোর দায়িত্ব নেব। (বুখারি ও মুসলিম)
জান্নাত লাভে এর চেয়ে সহজ ঘোষণা আর কি হতে পারে। সুতরাং নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও সহজে জান্নাতে যেতে পারবে, যদি তারা প্রিয়নবি ঘোষিত বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে।