মজিরন বেওয়া, বয়স শত বছরের উপরে। বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলার পুঠিমারি গ্রামে। স্বামী আঃ জলিল শেখ মারা যাবার পরে বড় একা জীবন তার। বিয়ে করেন আবার, মারা যান সেই স্বামীও। দ্বিতীয় স্বামীর কিছু সম্পদ পান মজিরন।
প্রথম স্বামীর পক্ষের নাতি আঃ রাজ্জাক (লালু)। এখন মজিরন বেওয়ার বসবাস সেই নাতির ঘরেই। বসতবাড়ির জায়গাটুকু জোরপূর্বক লেখে নেন নাতি লালু। এখন জমিটুকু নেয়ার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছে। কিন্তু তাকে ঠিকমত দেখভাল করে না।
মঙ্গলবার দুপুরে মজিরন বেওয়া থানায় এসে তার নাতির বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, তার নাতি জায়গা লিখে নিয়েছে অথচ তাকে ঠিকমত দেখভাল করে না। ওসি তার নাতিকে থানায় ডেকে আনে, লালু মুচলেকা দেন যে, সে আর এরকম করবে না, এখন থেকে ভালভাবে দেখভাল করবে। মুচলেকা নেয়ার পর ওসি মনিরুল ইসলাম বৃদ্ধা মজিরন বেওয়াকে তার নাতি লালুর হাতে তুলে দিলেন।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, লালু তার দাদিকে ঠিকমত দেখভাল করতো না, এখন থেকে সে দেখভাল করবে বলে মুচলেকা দিয়েছেন। উপজেলাব্যাপী খোঁজ নেয়া হচ্ছে, যেসকল বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা অবহেলায় জীবন-যাপন করছে তাদের দেখভালের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।