ঢাকাই ছবির এক সময়ের আলোচিত নায়িকা শিমলা। যার প্রেমে ব্যর্থ হয় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটালেন পলাশ কোথায় সেই শিমলা। ১৯৯৯ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘ম্যাডাম ফুলি’ নামের চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জিতে নেন জাতীয় পুরস্কার।
সেই থেকে ম্যাডাম ফুলি নামেই চলচ্চিত্রে পরিচিতি তার। এক সময়ের আলোচিত এ নায়িকা আলোচনায় নেই বহু দিন ধরেই। ক্যারিয়ারে ভাটা চলছে প্রায় দশ বছর হলো।
চলচ্চিত্রে কাজ নেই, তাই নেই আলোচনায়ও। তার সর্বশেষ অভিনীত ছবি ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। পরিচালক রুবেল আনুশ। ছবিটির শুটিং ফাঁসানো পরিচালকের সঙ্গে নানা কাণ্ডে আলোচনায় ছিলেন কিছু দিন।
এবার আলোচনায়ে এলেন বেকার থাকা এ নায়িকা। কাজ নিয়ে আলোচনায় নয়, ভিন্ন ইস্যু নিয়ে। ঢাকা থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমান ‘ময়ূরপঙ্খী’ উড়োজাহাজ ছিনতাইকারী করেছিলেন মাহাদী নামের একজন। পরে জানা গেছে তার নাম মাহমুদ পলাশ। ২৪ বছর বয়সী পলাশের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামে। তার অন্য পরিচয় হচ্ছে চিত্রনায়িকা শিমলার স্বামী তিনি। এ সূত্র ধরেই আলোচনায় শিমলা।
সর্বশেষ গত বছরের প্রথম দিনে বিয়ে নিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন শিমলা। তখন যে ছেলের সঙ্গে বিয়ের খবর প্রকাশ হয়েছিল সেই ছেলেকেই দেখা গেছে বিমান ছিনতাই ঘটনায়।
সূত্রে জানা গেছে, শিমলা পলাশের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাদের দাম্পত্যে ফাটল ধরেছিলো। শিমলার আগ্রহেই বিচ্ছেদ হয়। সেটি মেনে নিতে পারেননি পলাশ। হতাশায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে তিনি বিমান ছিনতাইয়ের মতো কাণ্ড ঘটাতে চেয়েছেন।
যে নায়িকার বিচ্ছেদ বিরহে বিমান ছিনতায়ের এমন ঘটনা। সে নায়িকা এখন কই? প্রশ্ন অনেকের। শিমলা এক সময় মগবাজারের ডাক্তার গলিতে থাকতেন। এখন সেখানে নেই তিনি। মুঠোফোনও বন্ধ। কিছুদিন উত্তরায় থাকছেন বলে তথ্য দিয়েছেন এ নায়িকার একসময়ের ঘনিষ্ঠ পরিচালক বন্ধু।
তাহলে কোথায় আছেন শিমলা? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে দশ বছরের ক্যারিয়ার ভাটা চলায় নায়িকা থাকছেন না দেশে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ভারতের মুম্বাইয়ে থাকছেন শিমলা। সেখানে মীরা রোড নামের একটি এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই বসবাস করছেন।