Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাজিতপুরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:১১ PM
আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:১১ PM

bdmorning Image Preview


কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগীর বাবার দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি অন্তর আলীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪।

আজ শনিবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫ টায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ঐ আসামিকে উপজেলার ঝুমাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার অন্তর আলী বাজিতপুর উপজেলার বালিগাঁও এলাকার আহমেদ আলীর ছেলে।

শনিবার বেলা ১২ টায় ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১৪ এর কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের। 

তিনি জানান, ধর্ষণের শিকার বাক প্রতিবন্ধি কিশোরী (১৪) বালিগাঁও এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থী এবং অভিযুক্ত অন্তর আলীও একই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

গত ২ জানুয়ারি ধর্ষণের শিকার ঐ কিশোরীর মাথা ব্যথা ও বমি হলে তার বাবা গ্যাস ও মাথা ব্যাথার ঔষধ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরবর্তীতে সুস্থ না হলে তার বাবা তাকে বাজিতপুর আল-নোমান ডায়গনষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করাতে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে কিশোরী ৯ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।

পরবর্তীতে কিশোরী বাবা-মা ওই কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইশারায় ও কাগজে লিখে জানায় গত বছরে ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই কিশোরী তার নানীর বাড়ী হতে বাড়ীতে ফেরার পথে ফুসলিয়ে অভিযুক্ত অন্তর তার নিজ বাড়ীতে শয়ন কক্ষে নিয়ে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।

পরে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই কিশোরীর বাবা-মা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করলে গত ৭ জানুয়ারি অভিযুক্ত অন্তরের মা ও চাচার সাথে গ্রাম্য সালিশে বসলে অভিযুক্ত অন্তর উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং ৩ দিনের মধ্যে বিবাহের আশ্বাস দেন। 

 

সালিশির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুনরায় ভিকটিমকে পরীক্ষা করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৮ জানুয়ারিতে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে মাতব্বর মোঃ গোলাপ মিয়ার উপস্থিতে পুনরায় পরীক্ষা করালে একই ফলাফল আসে। এ খবর পাওয়ার পর অভিযুক্ত অন্তর আত্মগোপনে  গোপন করে এবং অভিযুক্ত অন্তরের আত্ম গোপনের কথা জেনে ১০ জানুয়ারিতে পুর্নরায় সালিশ বসায়। সে সালিশে অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন সালিশিতে হাজির না হলে তার দুদিন পর বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করলে উক্ত কর্মকর্তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাজাহারুল ইসলাম নাহিদ’কে বিষয়টি মিমাংসার জন্য বললে চেয়ারম্যান ২ দিনের সময় নেয়।

ইউপি চেয়ারম্যান মিমাংসা করতে ব্যর্থ হলে ১৫ জানুয়ারি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-০৫, কিশোরগঞ্জে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।  নারী ও শিশু পিটিশন মামলা নং-১৪/২০১৯ তারিখ-২৩/০১/২০১৯ ইং, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১)। উক্ত মামলাটি নরী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রইব্যুনাল-২, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কিশোরগঞ্জে বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে মামলা দায়েরের পর হতে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে ভিকটিমের পরিবারকে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়।

তিনি আরও জানান, সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানারভুক্ত আসামি অন্তর আলীকে ঝুমাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

Bootstrap Image Preview