কক্সবাজারে আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারি ও গডফাদারদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ইয়াবা সিন্ডিকেটের অনেক অজানা তথ্য।
আজ শনিবার টেকনাফে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবা কারবারির দেওয়া স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে এসব অজানা তথ্য।
জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় কক্সবাজার জেলায় এক হাজার ১৫১ জন ইয়াবা কারবারি রয়েছে। তাদের বেশিরভাগ সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরও ৫ শতাধিক ইয়াবা কারবারি। এর আগে সরকারের কোনো তালিকায় ছিল না তাদের নাম। এই কারবারিরা এতদিন ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে। ইয়াবা ব্যবসা করে তারা বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে।কারবারিদের নতুন আসার নাম-পরিচয় পুলিশের হাতে পর তাদের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা ব্যবসায়ী ও গডফাদারদের সম্পদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তাদের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দুদক, এনবিআরসহ বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হবে। তাদের অবৈধ সম্পদের ব্যাপারেও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
টেকনাফ সীমান্ত এলাকার লোকজনের মতে, চলমান কঠোর অভিযানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইয়াবা কারবারিদের নেটওয়ার্ক। তবে অনেকে আত্মসমর্পণ না করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কেউ কেউ বিদেশে চলে গেছে।
উল্লেখ্য,গত বছরের ৪ মে থেকে ইয়াবার বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু হলে কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৪৪ কারবারি। এর মধ্যে ৩৭ জনই সীমান্ত এলাকা টেকনাফের। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ৭৩ জন গডফাদারের মধ্যে মাত্র চারজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। অন্যরা সবাই আত্মগোপনে রয়েছে।