Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এসএসসিতে নকল করতে না দেওয়ায় শিক্ষিকাকে জুতাপেটা করল ছাত্রী ও তার মা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:৫৪ PM
আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


এসএসসি পরীক্ষায় নকলের সুযোগ না দেয়ায় সুনীতি রানী (৪২) নামে এক শিক্ষিকাকে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে এক পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝালকাঠির নলছিটিতে। ওই শিক্ষিকা বর্তমানে বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত সুনীতি রানী উপজেলার ইছাপাশা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা ও সুবিদপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বিপুল বিহারী বিশ্বাসের স্ত্রী।

সুনীতি রানীর স্বামী বিপুল বিহারী বিশ্বাস ও ছেলে অমিত বিশ্বাস জানান, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার বি.জি ইউনিয়ন একাডেমি কেন্দ্রে গণিত ও ইংরেজি পরীক্ষায় সুনীতি রানী দায়িত্ব পালন করেন। ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী গোপালপুর গ্রামের দিলীপ করের মেয়ে মনিষা কর পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নকল করার চেষ্টা করেন। এসময় কক্ষ পরিদর্শকরা তাকে নকলের করার সুযোগ না দেয়ায় মনিষা ক্ষিপ্ত হয়।

এর জের ধরে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে মনিষা ও তার মা মাধুবী কর সুনীতি রানীর পথরোধ করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায় মাধুবী কর নিজের পায়ের জুতা খুলে সুনীতি রানীকে পেটাতে থাকেন। এসময় মনিষা তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সুনীতি রানীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। সুনীতি রানীর ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে মাধুবী বলেন, পরীক্ষা হলে নকলের সুযোগ না দেয়ায় শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগটি সত্য নয়। ওই দিন অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয়ায় উত্তেজিত হয়ে আমি তাকে (সুনীতি রানী) দুটি জুতার বাড়ি দিয়েছি। তবে আমার মেয়ে তাকে কোন মারধর করেনি।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন, ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার ও সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মান্নান শিকদার। এসময় ওসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview