Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস, আটক ৩

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩১ PM
আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩১ PM

bdmorning Image Preview


২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্রসহ র‍্যাব-৭ এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন আবদুল্লাহ ফাহিম (২০)। চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছিল।  জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার  ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাসের অভিযোগে রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সেই সঙ্গে এমন চক্রের আরও তিন হোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়।

আজ বুধবার(২০ ফেব্রুয়ারি) ডিবির (উত্তর) উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।গ্রেপ্তার হওয়া বাকি তিনজন হলেন মো. শামীম আহম্মেদ (১৯), মো. নবীন আলী (২২) ও ১৭ বছরের এক কিশোর।

মশিউর রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, এবারের এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী একটি চক্রের বিভিন্ন সদস্য বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ঢাকায় মিলিত হবে। পরে অভিযান চালিয়ে ফকিরাপুল জোনাকি (আবাসিক) হোটেলের সামনে থেকে ২০১৯ সালের এসএসসি প্রশ্নফাঁস চক্রের চার সদস্যকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া আব্দুল্লাহ ফাহিম বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন চাকরি, মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষার মার্কশিট ও পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন চক্রের সঙ্গেও তিনি জড়িত। এই চক্রের সঙ্গে প্রায় পাঁচ শত জন জড়িত। তারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র দেওয়া ও রেজাল্ট পরিবর্তনের কথা বলে ৫০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশ এজেন্ট নম্বরের মাধ্যমে হাতিয়ে নিতেন ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরেক আসামি শামীম আহম্মেদ জানান, ২০১৮ সাল থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত আছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করে থাকেন। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ভুয়া প্রশ্নপত্র দেওয়ার নাম করে বিকাশের মাধ্যমে ৫০০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন। তার গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৩০০ এর বেশি।

গ্রেফতার হওয়া ১৭ বছর বয়সের ওই কিশোর জানায়, গ্রেপ্তার নবীন আলী তার চাচাতো ভাই। তার সঙ্গে কাজ করত সে। গ্রুপের সদস্যদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে নবীন আলীকে সরবরাহ করাই ছিল তার কাজ। নবীন আলী পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতারণা করে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে, বিকাশ এজেন্ট নম্বরের মাধ্যমে ৫০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিত।

Bootstrap Image Preview