১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় শিক্ষার্থীদের ‘এ’ গ্রেড থেকে ‘এ-প্লাস’ এবং ‘বি’ গ্রেড থেকে ‘এ’ গ্রেডে ফলের নিশ্চয়তা দিতেন তারা। শিক্ষার্থীদের কাছে এমন ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণা করে আসা চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার এ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. আব্দুল বাতেন এসব তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর ফকিরাপুলের জোনাকি হোটেলের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আব্দুল্লাহ ফাহিম, মো. শামীম আহমেদ, মো. সোহেল রানা, ও মো. নবীন আলী। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রতারকচক্র সম্পর্কে মো. আব্দুল বাতেন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এসএসসি পরীক্ষা, বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষা, মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পেজের ফলোয়ারদের পড়াশোনা নিয়ে বিভিন্ন টিপস্ ও উপকরণ সরবরাহ করে বিশ্বাস অর্জন করত। এছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষার মার্কশিট ও পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনের আশ্বাস নিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত তারা। তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিটি গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৩০০ হতে ৫০০ এর অধিক। তারা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রুপের সদস্যদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে পরীক্ষার্থী ও অভিভাকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে।
গ্রুপের সদস্যদের চাহিদা মোতাবেক ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে বিকাশের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ৩০,০০০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মো. আব্দুল্লাহ ফাহিম ২০১৮ সালেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। এ সংক্রান্তে মতিঝিল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।