পৃথিবী মানবজাতির জন্য ‘পরীক্ষার স্থান’। পরীক্ষার খাতায় যেমন যা ইচ্ছা লেখা যায়, ঠিক তেমনি পৃথিবীতেও মানুষ যা ইচ্ছা করতে পারে। আল্লাহ এ ক্ষমতা সবাইকে দিয়েছেন। কেউ ইচ্ছে করলে সৃষ্টিকর্তার হুকুম পালন করবে, ইচ্ছে করলে করবে না। তবে সব পরীক্ষারই একটা ফলাফল থাকে। দুনিয়া নামক পরীক্ষারও ফলাফল থাকবে। রোজ হাশরে ময়দানে আল্লাহ তার পুরস্কার দান করবেন, পরীক্ষায় ফেল করলে তার জন্য শাস্তি। আল্লাহও তার বান্দাদের পুরস্কার এবং শাস্তি দিবেন।
আখেরাত নামক জীবনে আছে জান্নাত-জাহান্নাম। যে ব্যক্তি ভালো কাজ করবে সে জান্নাতবাসী হবে। মন্দ কাজ করলে হবে জাহান্নামী। এ জন্য বান্দাকে দুনিয়াতে চলাফেরায় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আয় উপার্জনে হিসেবি হওয়া উচিত। কারণ দুনিয়ার ক্ষণিকের জীবনের পরেই আসবে আখিরাতের অনন্তকালের জীবন। এবং শেষ বিচারের দিন মহান আল্লাহ তায়ালা নিজে বিচারক হিসেবে খারাপ কাজের শাস্তি ও ভালো কাজের পুরস্কার দেবেন।
শেষ বিচারের মাঠে আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রতিটি বান্দাকে ৫টি প্রশ্ন করবেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, সেই দিন ৫টি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কোনো আদম সন্তান তার পা এক কদমও নাড়াতে পারবে না, চাই সে নবী হোক কিংবা অলী হোক।
হাশরের মাঠে যে ৫টি প্রশ্ন করা হবে-
১) সর্ব প্রথম তাকে প্রশ্ন করা হবে, তুমি তোমার সারা জীবন কোন পথে কাটিয়েছো?
২) এরপর প্রশ্ন করা হবে, যৌবনকালে কোন আমল করেছো? এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু যৌবনে মানুষ সবচে’ বেশি কাজ করতে পারে, তার শক্তিও থাকে অফুরান, তাই বিশেষভাবে এ সময়ের হিসাব চাইবেন আল্লাহ তায়ালা।
৩) ধন-সম্পদ কোন পথে উপার্জন করেছো?
৪) কোন পথে ধন সম্পদ ব্যয় করেছো?
৫) দীন ইসলাম সম্পর্কে যতোটুকু জেনেছো, সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছো।
হাশরে দিনে মুসলমাদের কে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি সেজন্য আমাদের সকলকে এমন ভাবে এই দুনিয়াতে চলতে হবে, যেন আমাদের হশরের ময়দানে সকল প্রশ্ন সহজ হয়ে যায়।