Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

চোখ খুলেছেন কবি আল মাহমুদ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:২৭ PM
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:২৭ PM

bdmorning Image Preview


বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে দেশ বরেণ্য কবি আল মাহমুদ চোখ খুলেছেন। তিনি রবিবার পর্যন্ত তার অবস্থা সংকটাপন্ন থাকলেও সোমবার থেকে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আল মাহমুদের বড় ছেলে মীর শরীফ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কবি এখনো ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালের অইসিইউতে থাকলেও থেকে চোখ মেলেছেন। ইশারায় কথা বলারও চেষ্টা করছেন। সব মিলিয়ে অবস্থা উন্নতির দিকে।

কবি আল মাহমুদের ছেলে শরিফ বলেন, আল মাহমুদের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল হাই তাদের জানিয়েছেন আরো দুইদিন হাসপাতালে থাকার পর তারা কবিকে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন। তবে এখনো আইসিইউতে থাকা কবির কাছে তার পরিবারের সদস্য ছাড়া কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না।

এর আগে শনিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ কবিকে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের ভর্তির পর তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, আল মাহমুদ নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর কবিকে প্রথমে সিসিইউতে ও পরে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে তিনি অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে আছেন।

বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে সক্রিয় থেকে যিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্ভঙ্গিতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন, তিনি কবি আল মাহমুদ। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবিও তিনি। তার প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। একাধারে একজন কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক তিনি।

বরেণ্য কবি আল মাহমুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ব্যবসায়ী পরিবারে ১১ জুলাই ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। একুশ বছর বয়স পর্যন্ত এ শহরে এবং কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার অন্তর্গত জগতপুর গ্রামের সাধনা হাইস্কুলে এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। এ সময়েই লেখালেখি শুরু।

তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার তিরিশ দশকীয় ভাবধারায় ভাটি বাংলার জনজীবন, গ্রামীণ দৃশ্যপট, নদীনির্ভর জনপদ, চরাঞ্চলের কর্মমুখর জীবনচাঞ্চল্য ও নর-নারীর চিরন্তন প্রেম-বিরহের বিষয়কে অবলম্বন করে আধুনিক বাংলা ভাষার প্রচলিত কাঠামোয় অত্যন্ত স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততায় আঞ্চলিক শব্দের সুন্দর প্রয়োগে কাব্যরসিকদের মধ্যে নতুন পুলক সৃষ্টি করেন।

তিনি ১৯৭১-এর স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫-এ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে যোগদান করেন। পরে ঐ বিভাগের পরিচালক হিসেবে ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে তিনি অবসর নেন। কবিতা, ছোট গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধের বই মিলিয়ে শতাধিক। আল মাহমুদ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদকসহ বেশ কিছু সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

Bootstrap Image Preview