Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অর্থ আত্মসাত ও নারী কেলেংকারির দায়ে চার পুলিশের শাস্তি

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:৩৯ AM
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:৩৯ AM

bdmorning Image Preview


ঝিনাইদহে অর্থ আত্মসাত ও নারী কেলেংকারির দায়ে কর্মকর্তাসহ চার পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক আইসি মাহফুজুল হককে ব্যাগ ভর্তি অর্থ আত্মসাতের দায়ে এসআই থেকে এএসআই এবং নুরুন্নবীকে এএসআই থেকে কনস্টেবল করা হয়েছে। অন্যদিকে মহিলাসহ এক পুরুষের নগ্ন ছবি তুলে প্রতারণার দায়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই মোঃ রাজু আহম্মেদ ও কনস্টেবল মুসা তারেককে চাকরি থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম বলেছেন, ব্যক্তির দায় পুলিশ বিভাগ নেবে না। অপরাধ করলেই তাকে শাস্তি পেতে হবে। তিনি বলেন শীঘ্রই তালিকাভুক্ত মাদকের গডফাদার, এজেন্ট, ডিলার ও আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযানে নামবে পুলিশ।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ (আইসি) এসআই মাহফুজুল হক, এএসআই নুরুনবী, কনস্টেবল হোসেন আলী ও সোহল রানা চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বাসিন্দা উয়াজির আলীর ১৬ লাখ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে তদন্তে মাঠে নামেন পুলিশ সিকিউরিটি সেলের (পিআইও) ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হোসেন মড়ল ও পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। তদন্ত করে তারা ঘটনার সত্যতা পান।

পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পৃথক ৪টি বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন এসব বিভাগীয় মামলা তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাহফুজুল হককে এসআই থেকে এএসআই ও নুরুন্নবীকে এএসআই থেকে কনস্টেবল করা হয়।

এদিকে ২৫ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরের দিকে ঝিনাইদহ সরকারী নুরুননাহার মহিলা কলেজের মাস্টার রোলের কর্মচারি (এমএলএসএস) মোঃ আলমগীর হোসেনকে ফাঁসাতে দুইজন অপরিচিত নারীকে ক্যাম্পাসে পাঠায় ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই মোঃ রাজু আহম্মেদ ও কনস্টেবল মুসা তারেক। ওই নারীরা ওয়াশরুমের দিকে যাওয়ার সাথে সাথে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সেখানে এসে হাজির হয় সদর থানার এএসআই মোঃ রাজু আহম্মেদ, কনস্টেবল মুসা তারেক এবং সদর থানার সিভিল টিমের মাইক্রো চালক তুষার আহম্মেদ। সেই সময় কলেজের নিচতলার ১০৫ নাম্বার রুমের পাশে এমএলএসএস ( গার্ড) মোঃ আলমগীর হোসেনকে মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে জোরপূর্বক তার পরনের কাপড় খুলে উলঙ্গ করে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে আসা ওই দুই নারীর সঙ্গে নগ্ন ছবি ধারণ করে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান (পিপিএম) ওই দিনই তাকে ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসে। এরপর ২৬ জানুয়ারি শৃংখলা বহির্ভুত এবং পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে সদর থানার এএসআই মোঃ রাজু আহম্মেদ ও কনস্টেবল মুসা তারেককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ দেন পুলিশ সুপার।

 

Bootstrap Image Preview