Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘আপনারা নিউজ কইরেন না, কালই আমরা বাঁধ উঠিয়ে ফেলবো’

মনির হোসেন পিন্টু, চরভদ্রাসন প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩৮ PM
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরসালেপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে অবৈধ বাশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে চলেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গত ১ মাস ধরে অবৈধভাবে এ বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করলেও তা নিরসনে প্রশাসনের নজরে আসছে না।

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গোপালপুর টু মৈনট ঘাটে যাওয়ার পতিমধ্যে চরসালেপুর এলাকায় প্রায় ১৫শ’ মিটার পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে কয়েক হাজার বাঁশ পুঁতে অবৈধ বাঁধ দেয়া হয়েছে। নদীর মূল প্রবাহে আড়াআড়িভাবে তৈরি করা বাঁশের কাঁধের সঙ্গে জাল দিয়ে প্রতিদিন অবৈধভাবে মাছ শিকার চলছে। বাঁধের কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ, মাছের অবাধ বিররন ও নৌ- চলাচল মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন অবৈধ বাঁধে জাটকা ইলিশ, রুই, কাতল, চিতল, পাঙ্গাস, বোয়ালসহ জাটকা ইলিশ ধরা পড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় জানান, কিছু স্থানীয় প্রভাবশালীদের ব্যক্তিস্বার্থে ও লোভে পদ্মায় অবৈধভাবে মাছ শিকারে এলাকার বৈধ মৎস্যজীবীরা তাদের জীবিকা নিবার্হ করতে হিমসিম খাচ্ছে।

বাঁধের বিষয়ে জানতে চাইলে চরঝাউাকন্দা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরহাদ মৃধা বলেন, পদ্মায় অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি আমি জানি না। কেউ যদি করে থাকে তবে কাজটি ঠিক করেনি। তিনি আরো জানান, আমি অবৈধ বাঁধের বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

বাঁধ দেওয়ার বিষয়ে বাঁধের মালিক কাসেম মেম্বার বলেন, আমরা বাধটি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই দিয়েছি। তবে আমরা বাঁধের মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাঁধটি আর আমরা রাখবো না। আপনারা নিউজ কইরেন না। আগামীকাল থেকেই আমরা বাধটি উঠিয়ে ফেলবো বলে তিনি জানান।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভির হোসেন জানান, নদীতে বাঁধটির বিষয়ে আমি জানি না। তাছাড়া নদীতে এভাবে অবৈধভাবে বাঁধ দেওয়ার কোন সুযোগ নাই।

তিনি আরও জানান, ১৯৫০ মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নদীতে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা অতি শীঘ্রই তদন্ত করে দুই-একদিনের মধ্যে বাঁধটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা জেসমিন সুলতানা জানান, বাঁধটির বিষয়টি আমি আজকেই জানলাম। আমি এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। অতি শীঘ্রই আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাঁধটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

Bootstrap Image Preview