রাজধানীর পোস্তগোলা শ্মশান ঘাটে কবর থেকে এক নবজাতকের লাশ তুলে মাথা কেটে শ্মশানে পূজা দিয়েছে পাঁচ কিশোর।এর পর সেই বিছিন্ন মাথা মাটিতে রেখে তন্ত্রমন্ত্র পাঠ করছিল তারা। ওই কিশোররা বলেছে, তারা ‘অলৌকিক শক্তি’র অধিকারী হওয়ার আশায় এই কাণ্ড করেছে। এ ঘটনায় তাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার কিশোররা বলে, তারা অলৌকিক শক্তির অধিকারী হওয়ার আশায় এই কাণ্ড করেছে। মঙ্গলবার রাতে মরদেহ উত্তোলনের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরের দিন আবার শিশুটিকে শ্মশানে মাটি চাপা দেয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে এমন বীভৎস দৃশ্য দেখেন ওই শ্মশানে কর্তব্যরত সিটি করপোরেশনের এক কর্মচারী। তখন তিনি বিষয়টি পুলিশ ও স্থানীয়দের জানান।
শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আজ বুধবার দুপুরে ‘দৈনিক আমাদের সময়’ অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমান জানান, পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারের রবীন্দ্র দত্ত নামে এক ব্যবসায়ীর নবজাতক সন্তান সোমবার দুপুরে স্থানীয় এক হাসপাতালে মারা যায়। এর পর ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শ্যামপুর শ্মশান ঘাটে ওইদিন বিকেলেই তাকে সমাহিত করা হয়। সেদিন রাত ২টার পর ওই পাঁচ কিশোর শ্মশানে গিয়ে নবজাতকের মৃতদেহ তুলে ফেলে।
পরে তাদের সাথে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীর থেকে শিশুর মাথা বিচ্ছিন্ন করেন তারা। ছিন্ন মাথাটি ঘিরে তারা মন্ত্র পাঠ শুরু করেন। বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ গিয়ে বিচ্ছিন্ন মাথাসহ ওই পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে বলে জানান ওসি।
মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার কিশোরদের দাবি, তারা এ কাজ সম্পন্ন করতে পারলে সকলেই এক ‘অলৌকিক শক্তি’র অধিকারী হয়ে যেত।
এ ঘটনায় শ্মশান ঘাটের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আর সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই পাঁচ কিশোরকে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।