Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ক্রেতা সমাগমে জমজমাট বাণিজ্যমেলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:০৮ AM
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:০৮ AM

bdmorning Image Preview


বাণিজ্যমেলার প্রাণ ক্রেতাদের সমাগমে শেষ দিকে জমে উঠেছে কেনাকাটা।প্রতিটি স্টলে রয়েছে ক্রেতার জটলা। তাদের কেউ দরদাম করছেন কেউ নিচ্ছেন পছন্দের পণ্য।অন্যদিকে শেষ দিকে ক্রেতার আগমন বেশি হওয়ায় স্বস্তি এসেছে বিক্রেতাদের মাঝে।

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চলমান বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এই দিন সকাল থেকে উপচেপড়া ভিড় ছিলো মেলা প্রাঙ্গণে। মেইন গেটের টিকিট কাউন্টারগুলোয় আগত দর্শনার্থীদের দীর্ঘলাইন ছিলো। মেলার ভেতরে প্রতিটি স্টল ছিলো ক্রেতার ভিড়। তাদের অনেকেই পছন্দের পণ্য কিনতে দরদাম করছেন। তবে শেষ দিক হওয়ায় দরদাম করার চেয়ে পছন্দের পণ্যকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তারা।

এদিকে মঙ্গলবারও স্টলগুলো চলছে ছাড় আর লোভনীয় অফার। তাছাড়া পণ্য কিনলেই পাওয়া যাচ্ছে ওয়ারেন্টি। কোনো স্টল দিচ্ছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। আবার রয়েছে দুইটি পণ্য কিনলে একটি ফ্রি।

শাহেদা নামে একজন দর্শনার্থী বলেন, কেনাকাটার জন্য আজ মেলায় এসেছি। ছাড় ও অফার মূল বিষয় না কেনাকাটা করবো এটাই মূখ্য। এখন পর্যন্ত প্রসাধনী সামগ্রী কেনা হয়েছে, তবে পোশাকও দেখছি।

কল্পনা নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, এখন যেহেতু মেলা শেষ দিকে তাই দরদামের চেয়ে কেনাটা প্রধান। তাই পণ্য পছন্দ হলেই কেনা হচ্ছে।

রংবেরং প্যাভিলিয়নের বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার মেলা শুরু হয় ভাঙা মাসে। আমাদের ধারণা বিক্রি তেমন হবে না কিন্তু মেলার সময় যতই ফুরিয়ে আসছে ততই বিক্রি বাড়ছে। এভাবে বিক্রি হলে আমাদের কোনো পণ্য ফেরত নিয়ে যেতে হবে না।

একই কথা জানালেন মিয়াকো স্টলের বিক্রেতা হাসান মিয়া।

তিনি বলেন, বইমেলা শুরু হওয়ায় মনে হচ্ছিলো মেলা শেষ সময়ে খারাপ অবস্থায় যাবে। কিন্তু শেষ দিকেই ভালো বিক্রি হচ্ছে। মাসব্যাপী এ মেলা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা নামবে। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।

মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি।

এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো- থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।

Bootstrap Image Preview