ঘণ্টা ধরে টাকা দিলে ছেলে-মেয়েরা অবাধ মেলা মেশা করতে পারে। ওটা কোন রেস্ট হাউজ বা বাংলো নয়। ওটা রেস্টুরেন্ট। স্কুল-কলেজের ড্রেস পরে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঐ রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিচ্ছিল বেশ কিছু তরুণ-তরুণী। বিষয়টি নজরে আসে থানা পুলিশের। অভিযান চালায় সেই রেস্টুরেন্টে।
এ সময় আটক করা হয় উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ২০ তরুণ-তরুণীকে। আজ মঙ্গলবার(৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাজার এলাকার ফুড ক্লাব ফাস্ট ফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বছর খানেক আগে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার শহীদ ময়েজউদ্দিন সড়কের দেওয়ান মার্কেটের দোতলায় সাদেক মিয়ার মালিকানাধীন ফুড ক্লাব ফাস্ট ফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টটি ব্যবসা শুরু করে। শুরু থেকেই রেস্টুরেন্টটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। রেস্টুরেন্টের মালিক সাদেক মিয়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে আসছেন। ঘণ্টাপ্রতি তরুণ-তরুণীরা এখানে সময় ব্যয় করে। প্রতি ঘণ্টা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নেন রেস্টুরেন্ট মালিক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি হলে বাসায় ফিরে যায় শিক্ষার্থী ও তরুণ-তরুণীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এর আগে একাধিকবার এই রেস্টুরেন্টসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করলেও তারা এ ধরনের ব্যবসা ছাড়েনি। বরং নতুন নতুন সুবিধা ও প্রলোভন দিয়ে তরুণ-তরুণীদের রেস্টুরেন্টে ডাকেন মালিকপক্ষ।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. আবুবকর মিয়া বলেন, স্কুল-কলেজের সময় ক্লাস ফেলে তরুণ-তরুণীরা আড্ডা দেয়ার ব্যাপারে ওই রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ২০ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করার শর্তে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে আটক তরুণ-তরুণীদের ছেড়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি ওই রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মালিককে রেস্টুরেন্টের যাবতীয় কাগজপত্র দেখানোর সময় দিয়েছি আমরা। কাগজপত্র দেখে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।