Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

কিডনিতে পাথর, বোঝা যাবে যেসব লক্ষণে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:০৮ PM
আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:০৮ PM

bdmorning Image Preview


শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পানি খাওয়া, মূত্রজনিত কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না সে খেয়াল রাখা কিংবা তলপেটে বা কোমরে একটানা ব্যথা থাকলে অবশ্যই সতর্ক হয়ে কিডনির খেয়াল রাখা এর থেকে বেশি কেউই কিডনির যত্ন নিয়ে চিন্তা করেন না।

কিন্তু কিডনির পাথরের নানা সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। আধুনিক জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি কিডনিতে পাথর জমার অন্যতম কারণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনিতে কয়টি পাথর আছে এবং কোথায়, কেমন অবস্থায় রয়েছে এগুলোর উপরই এই অসুখের উপসর্গ প্রকাশ পায়। আবার এই পাথর নানা আকারেরও হয়।

সাধারণত, পাথরের সংখ্যা কম ও আকার খুব ছোট হলে তা কোনো রকম উপসর্গ ছাড়াই শরীরে থেকে বের হয়ে যেতে পারে।

ওষুধের মাধ্যমে তা গলিয়ে দেয়া বা শরীরের বাইরে বের করে দেয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু সংখ্যায় বেশি বা আকারে বড় হলে তা কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে এবং তখন অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনও পড়ে।

কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের উপায়

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু বিশেষ নিয়মকানুন মেনে চললে কিডনিতে পাথরের সমস্যা এড়ানো যায়।

পানি তো খেতেই হবে, কিন্তু প্রচুর পরিমানে পানি খাওয়া কোনো স্বাস্থ্যকর লক্ষণ নয়। বরং শরীরের প্রয়োজন বুঝে ও চাহিদা জেনে সেই অনুযায়ী পানি খান। এতে কিডনি ভাল খাকবে।

এমন কোনো খাবার বেশি খাবেন না যাতে ক্যালসিয়াম থাকে মাত্রাতিরিক্ত। অতিরিক্ত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

প্রায়ই কি মূত্রথলিতে ইনফেকশন হয়? তা হলে প্রথম থেকেই সতর্ক হন ও চিকিৎসা করান।

এসব সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললে কিডনিতে পাথরের ভয় অনেকটা কমে। কিন্তু এই অসুখ হলে অনেকেই প্রথম অবস্থায় বুঝতে পারেন না। সাধারণত কিডনির জটিলতার নানা উপসর্গই এই রোগের ক্ষেত্রেও লক্ষণ হিসাবে দেখা দেয়। দেখে নিন কোন কোন উপসর্গ দেখলে এই অসুখ নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।

অনেকেরই এই অসুখের কারণে ঘন ঘন জ্বর হয়। তাপমাত্রা অল্প থাকলেও বার বার যদি জ্বর আসে সাবধান হোন।

মূত্রের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন। যদি লালচে রঙের প্রস্রাব হয়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিডনির অন্যান্য জটিলতাতেও প্রস্রাবের রং লালচে হতে পারে।

কোমর থেকে তলপেটে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ব্যথা যে সকলের ক্ষেত্রে স্থায়ী হবে এমন নয়। তাই মাঝে মাঝে এমন ব্যথা হলেও সতর্ক হোন।

বমি হওয়ার বা বমিভাবও এই রোগের লক্ষণ। এসব লক্ষণ দেখলে কিডনিতে পাথরের নির্দিষ্ট পরীক্ষাগুলো করিয়ে নিন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Bootstrap Image Preview