Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই পেয়েছি বাংলা একাডেমি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:৩৭ PM
আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৫:২৫ PM

bdmorning Image Preview


বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী স্বাগত ভাষণে বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই পেয়েছি বাংলা একাডেমি। আর এই পথ ধরেই বাংলাদেশ। বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। 

তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলাটির উদ্বোধন করবেন। তিনি হচ্ছেন এমন ব্যক্তি যিতি লেখক, শিল্প-সাহিত্যকে ভালোবাসার একজন ব্যক্তি। এই গ্রন্থমেলার মাধ্যমে আমরা একটি নতুন ইতিহাসে পদার্পণ করছি। কেননা আগামী বছরই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পালিত হবে। 

আজ বিকাল ৩টা ৮ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে মেলার কার্যক্রম শুরু হয়। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি আছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিদেশি অতিথিদের মধ্যে ওপার বাংলার কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিসরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশি। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। সভাপতিত্ব করছেন একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

এবার মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশের পরিসর ৩ লাখ বর্গফুট। অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশকে ৪টি চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। বইমেলাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি গতকাল বলেন, বইমেলায় আগত সবাইকে নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ পথে আর্চওয়ে, ফুট পেট্রোলিং ব্যবস্থা, পোশাকধারী পুলিশের অবস্থান, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও আইএডি শাখার সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। 

প্রবেশ ও বাহিরে মূল ২টিসহ ৯ পথ

মেলায় প্রবেশ ও বাহিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও দোয়েল চত্বর উভয় দিকে প্রতিবারের মতো দুটি মূল প্রবেশপথ থাকবে। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশ ও বাহিরে তিনটি পথ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাহিরের মোট ছয়টি পথ থাকবে। আর বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।

গ্রন্থমেলার সময়সূচি

মাসব্যাপী বইমেলার ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেলা চলবে।

বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তারা ছাড়াও মেলা স্পনসর প্রতিষ্ঠান বিকাশের সিএমও মীর সওগত আলী, নিরাপদ মিডিয়া ও কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলা একাডেমির সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশনা সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview