Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাগ, হতাশা কাটানোর জন্য ভাঙচুরের সুযোগ দিচ্ছে চীন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:২৯ PM
আপডেট: ২৭ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:২৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


পরিবারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা কিংবা দিনের পর দিন অফিসে বস বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অপমানজনক কথা হজম করতে করতে জীবন অতিষ্ঠ! মনের মধ্যে রাগ আর হতাশার পাথর জমা হয়েছে। কিন্তু এভাবে রাগ জমিয়ে রাখাটাও নিজের জন্য ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে শরীর ও মনের ওপর মারাত্মক ক্ষতি হয়। দেখা দিতে পারে নানা মানসিক সমস্যা। শুধু তাই নয়, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ আপনাকে আত্মহত্যাপ্রবণ করে তুলতে পারে। ভাবছেন, তাহলে কী করবেন? কীভাবে মন হালকা করবেন? ‘অ্যাঙ্গার রুম’-এ যান। মন ভরে ভাঙচুর করুন। কেউ কিচ্ছু বলবে না! উল্টো উত্সাহ দেওয়া হবে এখানে।

অবাক হচ্ছেন! অবিশ্বাস্য হলেও আপনার মনের মধ্যে জমে থাকা রাগ, হতাশা কাটানোর জন্য এমন ‘অ্যাঙ্গার রুম’ রয়েছে চীনের বেইজিংয়ে। এই ‘অ্যাঙ্গার রুম’-এ রয়েছে পুরনো টেলিভিশন সেট, কম্পিউটার, ম্যানিকুইন, ওয়াইনের বোতল, ঘড়ির মতো আরও অনেক ছোট-বড় জিনিস। আর এগুলো ভাঙার জন্য ছোট-বড় হাতুড়ি, মুগুর, লোহার রডও রয়েছে। রাগ কমানোর জন্য যেটা পছন্দ, তুলে নিন। এবার মন ভরে ভাঙচুর করুন, যতক্ষণ না রাগ কমছে। তারপর এই সময়টুকুর দাম মিটিয়ে বাড়ি ফিরে যান।

বেইজিংয়ের বাসিন্দা পঁচিশ বছর বয়সী তরুণী জিন মেং গত সেপ্টেম্বরে জনসংযোগের চাকরি ছেড়ে এই ‘অ্যাঙ্গার রুম’ চালু করেন। এখন দেখতে দেখতে এই ‘অ্যাঙ্গার রুম’-এর খদ্দেরের সংখ্যা প্রতি মাসে ৬০০ ছাড়িয়েছে। মেং জানান, এখানে যারা আসেন, তাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।

মেং আরও জানান, এই ‘অ্যাঙ্গার রুম’-এর সাহায্যে প্রতি মাসে কয়েকশো মানুষের মানসিক চাপ কমাতে পেরে তিনি খুশি। আর মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে এখন যত টাকা তার প্রতিদিন আয় হচ্ছে, তা তিনি এই ‘অ্যাঙ্গার রুম’ চালু করার সময় ভাবতেও পারেননি। তবে মাস গেলে তার পকেটে কত আসছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।

Bootstrap Image Preview