সারা বিশ্বে নারীর ওপর যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। নারীর সম্ভ্রম লুট করার প্রবণতা শুধু আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই এর প্রবনতা ঊর্ধ্বগামী। বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু কঠোর আইন প্রণয়ন করেও এই অপরাধকে ঠেকানো যাচ্ছে না। অবাক করা ব্যাপার হলেও সত্যি যে, বিশ্বের তথাকথিত উন্নত কিছু দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সুইডেন, ফ্রান্স, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি নিমজ্জিত ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ প্রতিনিয়তই সংঘটিত হয়।
সারাবিশ্বে ধর্ষণের শীর্ষ স্থানাধিকারী তালিকার পাঁচ নাম্বারে আছে ব্রিটেন। দেশটিতে চার লাখ মানুষ প্রতিবছর ধর্ষণের মত ঘটনার শিকার হন এদেশে। প্রতি পাঁচ জন মহিলার মধ্যে একজন করে ধর্ষণের শিকার হন। তাই এবার ব্রিটেনের কিছু জনগণ আফ্রিকার অন্ধকার পথে হাঁঠছে । তারা কিশোরীদের স্তন বৃদ্ধি রুখতে বুকে 'আয়রন' পদ্ধতি ব্যবহার করছে। । এক হাজার মহিলা ও কিশোরীকে এই ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ বছরের শিশুরাও রয়েছে।
ব্রিটেনের লন্ডন, ইয়র্কশায়ার, এসেক্স ও ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে এমন বহু ঘটনা ঘটেছে বলে সংবাদমাধ্যমকে খবর দিয়েছেন কমিউনিটি ওয়ার্কাররা। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বালিকা ও কিশোরীদের বুকে গরম পাথর চেপে স্তনবৃদ্ধি রোখার চেষ্টা করা হয়। যন্ত্রণাদায়ক এই প্রক্রিয়াকে ঐতিহ্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন সেখানকার মানুষজন। জানা গিয়েছে, সাধারণত মা, চাচি ও দাদিরা গরম পাথর কিশোরীর বুকে চেপে বারবার আয়রন করেন যাতে টিস্যুগুলি ভেঙে গিয়ে বৃদ্ধি পিছিয়ে দেয়।
তারা জানিয়েছে, কিশোরীদের সুরক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থা। এতে কমবে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি। কমবে ছোট ছোট মেয়েদের প্রতি পুরুষদের যৌন আসক্তি
এক কমিউনিটি ওয়ার্কার জানিয়েছেন, দক্ষিণ লন্ডনে সম্প্রতি ১৫-২০টি এমন ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের না-হলেও এম ঘটনা ব্রিটেনে ঘটছে বলে তারাও সন্দেহ করছে। কিশোরীদের সুরক্ষার নামে এই পদ্ধতিকে শিশু নিগ্রহ হিসেবেই চিহ্নিত করেছে ব্রিটেন।