ঘুমিয়ে থাকা মানুষ একেবারেই পছন্দ নয় তার। সুযোগ পেলে ঘুমন্ত মানুষকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি।
আর এভাবেই গত ছয় মাসে ১০ জন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে হত্যাসহ আরও অনেককেই আহত করেছেন তিনি।
এমন অভিযোগ এসেছে কালুয়া নামের ভারতীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার আরও দুজনকে খুন করার প্রস্তুতি নিতে গেলে পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
গত ৬ মাসে ভারতের ইলাহাবাদ ও তার আশপাশের অঞ্চলের অন্তত ১০ ঘুমন্ত ব্যক্তি জনকে খুন করেছে আটত্রিশ বছরের কালুয়া। এমনটাই দাবি ইলাহাবাদ থানা পুলিশের।
ইলাহাবাদের পুলিশ সুপার নিতিন তিওয়ারি জানান, ওই যুবকের পুরো নাম কালুয়া ওরফে সাই বাবা ওরফে সুভাষ।
তিনি ইলাহাবাদের লালাপুর থানার বাসেহারা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
নিতিন তিওয়ারি আরও জানিয়েছেন, কুম্ভ মেলায় আরও দু’জন সাধুকে খুনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল কালুয়া। তবে সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে তার গতিবিধিতে আগে থেকেই নজর রেখেছিল পুলিশ।
পুলিশের দাবি, গত বছর ৪ জুলাই দুর্গা পার্ক নামক স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ঘুমিয়ে থাকা দুই শ্রমিককে প্রথম হত্যা করে কালুয়া।
এরপর একইভাবে ২৭ নভেম্বর প্যারেড গ্রাউন্ড ও ২৪ ডিসেম্বর কোঠা পরচা নামক স্থানে আরও দুই ঘুমিয়ে থাকা শ্রমিককে খুন করেন তিনি।
এর পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কিডগঞ্জের এক হোটেলের নীচে ঘুমিয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করে কালুয়া।
তার মাত্র ৮ দিন পর দারাগঞ্জের শাস্ত্রী ব্রিজ এলাকায় খুন হন আরও দুই ব্যক্তি, যাদের হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও প্রক্রিয়া আগের সব খুনের সঙ্গে মিলে যায়।
সম্প্রতি কালুয়া ভারতের কুম্ভ মেলা এলাকায় আবার ঘুমিয়ে থাকা তিনজনের ওপর হামলা চালালে তাদের মধ্যে একজন নিহত হন ও বাকি দু’জন গুরুতর আহত হন।
ইলাহবাদ পুলিশের বক্তব্য, কালুয়া কেন এসব হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে কালুয়ার কাছ থেকে জব্দ একটি কুঠারসহ দুটি ধারাল অস্ত্র এবং একটি কাঠের ব্যাট যে ওইসব হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে তা প্রমাণিত বলে জানিয়েছে পুলিশ।