Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মডেল মানসীকে খুন করে ফটোগ্রাফার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩৭ PM
আপডেট: ২৬ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


যৌন সম্পর্কের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় উঠতি মডেল মানসী দীক্ষিতকে খুন করেন ফটোগ্রাফার বন্ধু মুজাম্মেল সৈয়দ।

মানসী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোজাম্মিলকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে ছেলের এমন নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে হতবাক মোজাম্মিলের পরিবার।

পুলিশ বলছে, মানসী দীক্ষিত নামের ওই মডেলকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নৃশংসভাবে খুন করেন মুজাম্মেল।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কাজের খাতিরেই ফটোগ্রাফার সৈয়দ মোজাম্মিলের সঙ্গে পরিচয় হয় উঠতি মডেল মানসী দীক্ষিতের। গত বছরের ১৫ অক্টোবর ফটোসুটের কথা বলে মানসীকে নিজের বাড়িতে ঢেকে পাঠায় মোজাম্মিল। সেখানেই ছবি তোলার এক পর্যায়র এই মডেলকে যৌন সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দেয় সে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ফটোগ্রাফার মোজাম্মিল। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ভারী কাঠের টুকরো নিয়ে মানসীর মাথায় আঘাত করে মোজাম্মিল। এরপরেই জ্ঞান হারান ওই তরুনী।

মোজাম্মিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জ্ঞান হারানোর পরও মানসীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। এরপর গলায় দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে মানসীকে। পরে মানসীর লাশকে ব্যাগে ভরে রাস্তার ধারে ফেলে পালিয়ে যায় মোজাম্মিল।

পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর আসে, মালাদের রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি স্যুটকেস পড়ে আছে। পরে তারা নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছান এবং ব্যাগ খোলেন। ব্যাগের ভেতরে তারা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত এক নারীর মৃতদেহ দেখতে পান।

পুলিশ জানায়, দ্রুতই তারা তদন্ত শুরু করেন। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে তারা একটি প্রাইভেট কার শনাক্ত করেন, যেটি থেকে নেমে ব্যাগটি রাস্তার পাশে ফেলা হয়েছিল এবং গাড়িটির মালিকের অনুসন্ধান করেন তারা। পরে ওই মৃত মেয়েটির পরিচয় জানা যায়।

Bootstrap Image Preview